বিক্রির টাকা নেওয়ার ক্ষেত্রে সরকার নির্ধারিত ইলেক্ট্রনিক ক্যাশ রেজিস্ট্রার (ইসিআর) কেউ ব্যবহার করছে না। ফলে কী পরিমাণে প্রতিদিন কেনা-বেচা হচ্ছে তার সঠিক হিসাব সরকারি কর্তৃপক্ষ জানতে পারছে না।
শুক্রবার (২০ জানুয়ারি) বাণিজ্য মেলায় কাজী র্ফাম কিচেন, এনএফসি ইন্ডিয়ান রেস্টুরেন্ট, হাজীর বিরিয়ানি অ্যন্ড কাবাব ঘর, স্টার কাবাব, নান্না বিরিয়ানি হাউজ, হাজির বিরিয়ানি অ্যান্ড কাবাব হাউজ, নান্না বিরিয়ানি অ্যান্ড স্টার কাবাব, আল নুর ইন্ডিয়ান রেসিপি, হাজী বিরিয়ানি অ্যান্ড কস্তুরি কাবাব এবং হাজীর বিরিয়ানিসহ বিভিন্ন খাবার দোকানে এ চিত্র দেখা যায়। এসব হোটেলে হাতে-লেখা ভাউচার ব্যবহার হচ্ছে, দিচ্ছে না চালান।
সরকার নির্ধারিত ইসিআর ব্যবহার না করে হাতে লেখা ভাউচার ব্যবহার করার বিষয়ে জানতে চাইলে মেলার দক্ষিণ-পশ্চিম পাশে অবস্থিত হাজীর বিরিয়ানি অ্যান্ড কাবার ঘরের কর্মকর্তা জানান, ইসিআর ব্যবহারের কোনো নির্দেশনা নেই। তাই মেলায় হাতের লেখা ভাউচার ব্যবহার করি।
নান্না বিরিয়ানি অ্যান্ড স্টার কাবাবের কর্মকর্তা রহমত আলী বাংলানিউজকে বলেন, খাবার খাওয়ার পর কেউ ভাউচার চাইলে দিচ্ছি। ইসিআর আবার কী?
মেলা কর্তৃপক্ষের নির্ধারিত দাম অনুযায়ী চিকেন বিরিয়ানি ১৫০ (৪শ‘ গ্রাম), ২৯০ টাকা ( ৮শ’ গ্রাম), মাটন কাচ্চি ১৮০-৩৪০ টাকা, বিফ তেহারি ৯০-১৪০ টাকা, চিকেন ফ্রাইড রাইস ১৪০-২৭০ টাকা, বিফ ভুনা ১৫০-২০০ টাকা, ফ্রাইড চিকেন ও ফ্রাইড রাইস ১৭০-২৯০ টাকায় বিক্রি করার কথা। কিন্তু মেলার দক্ষিণ-পূর্ব পাশের হাজি বিরিয়ানি রেস্টুরেন্টে চিকেন বিনিয়ানি বিক্রি হচ্ছে ৩৫০ টাকা দরে। তেহারি বিক্রি হচ্ছে ২৫০ টাকায়। এছাড়াও নান ৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
এছাড়াও শাহী চটপটি, ফুচকা ১০০ টাকায় বিক্রির কথা থাকলেও যার কাছে যত পারছেন তত টাকা দর রাখছেন বিক্রেতারা।
অন্যদিকে স্পেলাশ দই ফুচকা ১০টি ১২০ টাকা, বিফ শিক কাবাব ১৩০, মাটন শিক কাবাব ১৪০, চিকেন টিক্কা (দেশি) ৩০০, পরোটা (স্পেশাল) ৩০টাকা, পরোটা সাধারণ ১৫ টাকা, বিফ হালিম (এক বাটি) ১১০টাকা, চিকেন হালিম ১১০ টাকা, চিকেন বার্গার ১০০ টাকা, কফি কোল্ড ৪০ টাকা, নান রুটি স্পেশাল ৬০, নান রুটি ৩০ টাকা, ডিম অমলেট ২০ টাকা, চিকেন স্যান্ডউইচ ১০০ টাকা, নুডলস ৪০ টাকা দরে বিক্রির কথা থাকলেও কেউ এই দামে বিক্রি করছেন না।
বাংলাদেশ সময়: ঘণ্টা, ২০ জানুয়ারি ২০১৭
এমএফআই/এমজেএফ