মেলায় বাড়তি সময় ও পণ্যে ছাড় দেওয়ায় ক্রেতা-দর্শনার্থীদের সমাগমে মুখরিত মেলা প্রাঙ্গণ। পাশাপাশি পণ্য বিক্রির খুশিতে মেতেছেন বিক্রেতারাও।
সরেজমিনে (৩১ জানুয়ারি) মঙ্গলবার সকালে ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলা প্রাঙ্গণ ঘুরে এমন চিত্রই দেখা যায়, মেলার মূল প্রবেশ গেইটে ছিলো দর্শনার্থীদের উপচে পড়া ভিড়। লাইন ধরে টিকেট কাটছেন কয়েকশ’ দর্শনার্থী। মূল প্রবেশের গেটের ভেতরে ও বাইরে কোথাও তিল ধারণের ঠাঁই নাই।
এ বছর যারা শুরুর দিকে মেলায় আসতে পারেননি তারা বাড়তি এই সময়টিকে হাত ছাড়া করতে নারাজ।
মূল প্রবেশ পথে আরো দেখা মেলে, ফুটপাত ধরে হেঁটে হেঁটে জনস্রোত এগিয়ে যাচ্ছে বাণিজ্য মেলার দিকে। মেলার প্রবেশপথ আর টিকিট কাউন্টারের সামনেও ছিলো মানুষের ঢল।
সরেজমিনে আরো দেখা মেলে, বাবা-মায়ের সঙ্গে মেলায় এসেছে শিশুরাও। বিভিন্ন পণ্যের উপর দেওয়া হয়েছে ছাড়।
পণ্যের ছাড় দেওয়ায় বিক্রি বেড়েছে। এছাড়া ক্রেতা সমাগমও বেড়েছে। তবে ক্রোকারিজ, কসমেটিকস, টিভি, ফ্রিজ, কাপড়, জুতা ও খাবারের দোকানগুলোতে ছিলো প্রচণ্ড ভিড়।
আয়োজকদের মতে, মেলায় লোকসমাগম পেছনের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে। লোকসংখ্যার সঠিক হিসাব দেওয়া কঠিন।
মেলার মূল গেইটে কথা হয় ফাহমিদা ইসলামের সঙ্গে। তিনি বাংলানিউজকে বলেন, ২০ মিনিট ধরে মেলার গেটে এসেছি। ভিড় বেশি থাকায় ঢুকতে সময় লেগেছে।
তিনি বলেন, মেলার সময় বাড়ানো হয়েছে শুনে আসলাম। এছাড়া পণ্যের দামও কমানো হয়েছে বলে শোনা যাচ্ছে। ঘুরে দেখি কি অবস্থা।
বাবা হিলালি ওয়াদুদ চৌধুরীর সঙ্গে মেলায় এসেছেন সামারা। পুতুল কিনবে বলে বাবার কাছে বায়নাও ধরেছে।
মেলায় প্রচণ্ড ভিড়ের মধ্যে কথা হয় সামার বাবা হিলালির সঙ্গে।
তিনি বাংলানিউজকে বলেন, মেলার সময় তো আগেই বাড়ানো হয়েছে। এছাড়া অনেক পণ্যের ছাড় দেওয়া হয়েছে শুনে মেয়েকে নিয়ে আসা। পুতুল কিনবে বায়না ধরেছে। মেয়ের পুতুল কেনা শেষ হলে গৃহিণীর জন্য ক্রোকারিজ আইটেম কিনবো। মেলায় আজ খুব ভিড়। ভিড়ের মধ্যে মেয়েকে নিয়ে আসতে একটু কষ্টই হয়েছে। তবে ভালোও লাগছে।
মেলায় ক্রোকারিজ বিক্রেতা মতিন মিয়া বাংলানিউজকে বলেন, মেলার সময় বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বিক্রিও বেড়েছে। এছাড়া সকাল থেকেই ক্রেতাদের সমাগম বেড়েছে।
আমাদের সব পণ্যেই ৫০ শতাংশ ছাড়া দেওয়া হয়েছে। ছাড় দেওয়ায় বিক্রি ভালো হচ্ছে। রান্না জন্য চামচ কিনছিলেন ফরিদা বেগম।
তিনি বাংলানিউজকে বলেন, মেলায় এসেছি রান্নার জিনিসপত্র কেনার জন্য। এসে দেখছি ছাড় দেওয়া হয়েছে। তাই কেনাকাটা করছি।
এদিকে মেলায় দর্শকদের নিরাপত্তার বিষয়ে সর্বোচ্চ সতর্কাবস্থায় রয়েছে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। মেলায় আগত দর্শনার্থীদের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করছেন তারা। থাকবেন শেষদিন পর্যন্ত।
গত ১ জানুয়ারি থেকে শুরু হওয়া ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার ২২তম আসর ৩১ জানুয়ারি শেষ হওয়ার কথা থাকলেও ক্রেতা ও বিক্রেতাদের চাহিদার কথা মাথায় রেখে মেলার সময় চার দিন বাড়ানো হয়েছে।
**ক্রোকারিজ পণ্যের স্টলগুলোতে মূল্যছাড়ের মহোৎসব
বাংলাদেশ সময়: ১৯১৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩১, ২০১৭
এএটি/আরআই