কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়ায় শেষ হচ্ছে এবারের বাণিজ্যমেলা। তাই, অতিরিক্ত সময় বৃদ্ধির কারণে খুশি ব্যবসায়ী ও ক্রেতা-দর্শনার্থীরা।
শনিবার বাণিজ্যমেলার শেষ দিনে দেখা যায়, প্রতিটি পণ্যের ওপর ২০ থেকে ৬০ শতাংশ ছাড় দিয়ে বেচা-কেনা করছে স্টলগুলো।
তিশা জামদানি তাঁত প্রদর্শনীর স্টলের মালিক মোহাম্মদ হান্নান সিকদার বাংলানিউজকে জানান, আমি আল্লাহর কাছে হাজার শুকরিয়া আদায় করছি যে, এবারের মেলা কোনো ঝামেলা ছাড়াই শেষ হচ্ছে। আমাদের মতো সব ব্যবসায়ীরা আনন্দের সঙ্গে ব্যবসা করেছে। সবাই ব্যবসায়ী হাসি মুখে আজ মেলার সমাপ্তি করবেন।
তিনি জানান, আমার স্টলের সব শাড়ি ২০ শতাংশ ছাড়ে বিক্রি করা হচ্ছে। তবে মেলায় ভালো মানের শাড়ি ওঠানোর কারণে ইপিবির কাছ থেকে পুরুস্কারও পাবো আশা করছি। অন্যদিকে প্রায় সব দোকানে ২০ থেকে ৬০ শতাংশ ছাড়ে পণ্য বেচা-কেনা করছে ব্যবসায়ীরা।
শুক্রবার (০৩ ফেব্রুয়ারি) তুলনায় শনিবার মেলার দর্শনার্থীদের উপস্থিতি অনেক কম ছিলো। তবে শুক্রবার ছুটির দিন থাকায় পরিবার ও প্রিয়জনদের সঙ্গে নিয়ে মেলায় ছুটে এসেছেন বিপুল সংখ্যক মানুষ। হাজারও দর্শনার্থীর পদচারণায় জমজমাট হয়ে ওঠছিলো বাণিজ্যমেলা।
ব্যবসায়ীরা জানান, ২০১৪ সালে মেলায় স্টল বরাদ্দকারী ব্যবসায়ীরা অনেক ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। ১৪ সালের জ্বালাও-পোড়াও ছিলো চোখে পড়ার মতো। তবে এর পরে ২০১৫ এবং ১৬ সালে এ রাজনৈতিক প্রভাব পড়েনি।
বাণিজ্যমেলা কমিটির সদস্য সচিব মোহাম্মদ রেজাউল করিম বাংলানিউজকে বলেন, প্রতিবারের মতো এবারও ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলায় ২২তম আসর সুশৃঙ্খলভাবে শেষ করতে যাচ্ছি। আমরা সব সময় চেষ্টা করি একটি সুশৃঙ্খল পরিবেশে ভালো একটি মেলা উপহার দিতে। আশা করি আমরা সেটা করতে পেরেছি।
বাংলাদেশ সময়: ১৭২১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৪, ২০১৭
ওএফ/ওএইচ/