ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বাণিজ্যমেলা

চায়না প্যাভিলিয়নে ‘কাড়াকাড়ী অফার’

বেলাল হোসেন, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৭৪৮ ঘণ্টা, মার্চ ১১, ২০১৭
চায়না প্যাভিলিয়নে ‘কাড়াকাড়ী অফার’ বগুড়া বাণিজ্যমেলায় ‘চায়না প্যাভিলিয়ন’র বাইরে ক্রেতাদের ভিড়। ছবি: আরিফ জাহান

বাণিজ্যমেলা ঘুরে: চায়না প্যাভিলিয়ন। মেলায় স্থান পাওয়া ৪টি বৃহৎ প্যাভিলিয়নের একটি। প্রায় দুই হাজারের মত চাইনিজ পণ্যে স্থান পেয়েছে এ প্যাভিলিয়নে। ক্রেতা সাধারণের পছন্দকে প্রাধান্য দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

এখান থেকে পণ্য কিনতে দরদামের প্রয়োজন নেই। পছন্দ করাই মুখ্য বিষয়।

মোটামুটি প্রত্যেক পণ্যের দাম নির্ধারিত। সেজন্য দর্শনার্থীদেরও আকৃষ্ট করা হচ্ছে ‘কাড়াকাড়ী অফার’ দিয়ে। প্রতিটি পণ্য মাত্র ১৩০ টাকা। ডাকা হচ্ছে ‘শুধু বাইছ্যা বাইছ্যা পছন্দ করেন আর লন’ বলে।
 
বগুড়া শহরের শহীদ চাঁন্দু স্টেডিয়াম সংলগ্ন মাঠে চলছে মাসব্যাপী আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলা। এ প্যাভিলিয়ন ঘুরতে গিয়ে দেখা গেল কর্মীদের ব্যস্ততা।
 
প্যাভিলিয়নটি বেশ বড়সড়। পণ্যভেদে বেশ কয়েকটি ভাগে ভাগ করা হয়েছে ভেতরের অংশ। থরে থরে সাজানো হয়েছে পণ্যগুলো। মানুষের নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র থেকে খেলনা সামগ্রী, সব কিছুর সমাহার রয়েছে এ প্যাভিলিয়নে।
 
মেলায় আসা সিংহভাগ দর্শনার্থী অন্তত একনজর দেখার জন্য হলেও এ প্যাভিলিয়নে ভিড় করছেন। বেচা-বিক্রিও হচ্ছে তুলনামূলক বেশি। গত ১ মার্চ মেলা শুরু হওয়ার পর বিকেল থেকেই সেখানে ভিড় করেন নানা শ্রেণী-পেশার বিভিন্ন বয়সী মানুষ। সন্ধ্যার পর থেকে প্যাভিলিয়নের ভেতরে ও বাইরে কেবল মানুষ আর মানুষ চোখে পড়ে।
 
ঢাকার ব্যবসায়ী আমির হোসেন এ প্যাভিলিয়ন বসিয়েছেন। সার্বক্ষণিক ১৬ জন কর্মী প্যাভিলিয়নে দায়িত্বে নিয়োজিত। বেচা-বিক্রির ফাঁকেই কথা হয় প্যাভিলিয়নের কর্মী সুমন মৃধা, আজিম, রনি, ফয়সাল ও হিমেলের সঙ্গে।  
বগুড়া বাণিজ্যমেলায় ‘চায়না প্যাভিলিয়ন’র ভেতরে ক্রেতাদের ভিড়।  ছবি: আরিফ জাহানতারা বাংলানিউজকে জানান, এখানে কর্মরত ১১ জনেরই বাড়ি খুলনায়। এ মেলায় তাদের প্রথম আসা। মানুষের সমাগমে অত্যন্ত খুশি তারা। শুরু থেকেই তাদের প্যাভিলিয়নের প্রতি ক্রেতা সাধারণের আকর্ষণটা একটু বেশি। এ কারণে প্রতিদিন বেচা-বিক্রি বাড়ছে। শেষের দিকে হয়তো বিক্রি কয়েকগুণ বাড়বে বলে আশা করছেন তারা।

চায়না প্যাভিলিয়নের এ কর্মীরা জানান, এ প্যাভিলিয়নে দুইশ’র অধিক প্লাস্টিক পণ্য রয়েছে। দেড়শ’র অধিক রয়েছে কাঁচের পণ্য। অভাব নেই ছোটদের খেলনারও। কসমেটিকস পণ্যেরও বিপুল সমাহার রয়েছে। রয়েছে স্টিলের সামগ্রী এবং মাদুর পর্যন্ত। এসব পণ্যের মধ্যে মাত্র ১২টি পণ্য অধিক দামে বিক্রি করা হচ্ছে। বাকি সব পণ্য মাত্র ১৩০ টাকায় যে কেউ কিনতে পারছেন।

এ প্যাভিলিয়নে আসা মৌসুমী, শরিফা, আরিফ, কায়সারসহ বেশ ক’জন ক্রেতা বাংলানিউজকে জানান, এক দরের দোকান থেকে পণ্য কেনার অনেকটা সুবিধা। এখানে দরদাম করতে হয় না। শুধু জিনিস পছন্দ করতে পারলেই চলে। এছাড়া মোটামুটি সব ধরনের পণ্য এ প্যাভিলিয়নে রয়েছে। তাই পছন্দের জিনিস কিনতে এ প্যাভিলিয়নকেই প্রাধান্য দিচ্ছেন তারা।
 
গত ১ মার্চ  মাসব্যাপী আন্তর্জাতিক এ মেলার উদ্বোধন করা হয়। মেলায় মোট ৪টি প্যাভিলিয়ন ও ৭৮টি স্টলে দেশি-বিদেশি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের পণ্য কেনাকাটার সুযোগ পাচ্ছেন ক্রেতারা। এছাড়া শিশুদের বিনোদনের জন্য বিভিন্ন রাইড ও সার্কাসের ব্যবস্থাও রয়েছে মেলায়।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৩৩৬ ঘণ্টা, মার্চ ১০, ২০১৭
এমবিএইচ/এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।