মঙ্গলবার (২৩ মে) সকালে ঢাকা কাস্টম হাউসের সহকারী কমিশনার (রপ্তানি) মো. আল আমিন এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
বাংলানিউজকে তিনি জানান, চালানের ক্ষেত্রে কয়েকটি পণ্যের নাম উল্লেখ পূর্বক উদ্ভিদ সংগনিরোধ দপ্তর কর্তৃক প্রদত্ত ফাইটোস্যানিটারি সার্টিফিকেট থাকলেও কাস্টমস কর্তৃক কায়িক পরীক্ষাকালে এর মধ্যে ভিন্নতর পণ্য পাওয়ায় তা আটক করা হয়।
১৬ মে বিল অফ এক্সপোর্ট নম্বর: সি-৪৩৭৬০০, ফাইটোস্যানিটারি সার্টিফিকেট নম্বরঃ ৯৩৪৭৬, এর মাধ্যমে বাহরাইনে রপ্তানিকালে অনুমোদিত ১,০০০ কেজি সবজির আড়ালে মানহীন ১০০ কেজি আলু পাওয়া যায়। অভিযুক্ত রপ্তানিকারক: ডলফিন ইন্টারন্যাশনাল, সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট: এক্সেলসিয়র কার্গো এজেন্সি এবং ফ্রেইট ফরোয়ার্ডার: রাফি ফ্রেইট সিস্টেম।
১৮মে বিল অফ এক্সপোর্ট নম্বর: সি-৪৪৪৫৫১, ফাইটোস্যানিটারি সার্টিফিকেট নম্বর: ৯৩৭৪৫, ৯৩৭৪৬, ৯৩৭৪৭, এর মাধ্যমে সৌদি আরবে রপ্তানিকালে অনুমোদিত ৩,১০০ কেজি সবজি ও ফলের আড়ালে মানহীন ৭০ কেজি লিচু পাওয়া যায়। অভিযুক্ত রপ্তানিকারক: ভাই ভাই ট্রেডার্স এবং সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট: নিশো ইন্টারন্যাশনাল।
ঢাকা কাস্টম হাউসের সহকারী কমিশনার (রপ্তানি) মো. আল আমিন বলেন, সম্প্রতি ইউরোপসহ কয়েকটি দেশ বাংলাদেশ থেকে রপ্তানিকৃত শাক-সবজি ও ফল-মূল পণ্যের গুণগত মান এবং ফাইটোস্যানিটারি সার্টিফিকেট বহির্ভূত পণ্য রপ্তানির অভিযোগ উপস্থাপন করে। কতিপয় অসাধু রপ্তানিকারকদের প্রতারণা ও অতি মুনাফার লোভের কারণে বহির্বিশ্বে বাংলাদেশি শাক-সবজি ও ফল-মূল রপ্তানির সম্ভাবনাময় বাজার ঝুঁকির সম্মুখীন হয়।
দ্রুততর রপ্তানির স্বার্থে সাধারণত কাস্টম কর্তৃক ১০ শতাংশ পর্যন্ত রপ্তানি পণ্য কায়িক পরীক্ষার বিধান রয়েছে। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে রপ্তানি বাজার ও দেশের ভাবমূর্তি রক্ষায় ঢাকা কাস্টম হাউস কর্তৃপক্ষ শাক-সবজি ও ফল-মূল রপ্তানি চালান সর্বোচ্চ কায়িক পরীক্ষণের সিদ্ধান্ত নেয়। এর ফলেই উক্ত অনিয়ম দুইটি প্রতিরোধ করা সম্ভব হয়েছে। কাস্টমসের নজরদারি এবং আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১০১৫ঘণ্টা, মে ২৩,২০১৭
এসজে/এমেজএফ