শনিবার (০২ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর আগারগাঁয়ের শেরেবাংলা নগরের মেলা প্রাঙ্গণ ঘুরে দেখা যায়, বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মেলায় দর্শনার্থীদের সংখ্যাও বাড়তে থাকে। দুপুরের আগেই আগত দর্শনার্থীদের ভিড়ে জনস্রোতে রূপ নেয় পুরো মেলা প্রাঙ্গণ।
গত শুক্রবারের মতো সকাল থেকেই মেলায় কসমেটিক্স, গার্মেন্টস, ফ্যাশন, জুয়েলারি, ফার্নিচার ও ক্রোকারিজ স্টলগুলোতে ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো।
উত্তরা থেকে মেলায় এসেছেন রিপা নামে এক দর্শনার্থী। তিনি বলেন, মেলা প্রায় শেষের দিকে কাজের ব্যস্ততায় মেলায় আসা হয়নি। তাই কেনাকাটা করতে মেলায় আসলাম। কিছু সাজুগুজুর জিনিস কিনবো।
পুলিশের স্পেশাল ব্র্যাঞ্চে (এসবি) কর্মরত আলপনা নামে অপর এক দর্শনার্থী বলেন, এর আগে মেলায় ঘুরতে এসেছি। আজ কেনাকাটার ইচ্ছা আছে। দেখি কী কেনা যায়। এছাড়াও মেলায় অনেক পণ্য আছে তাই যাচাই করেই পণ্য কিনবো। ইন্ডিয়া প্যাভিলিয়নের কসমেটিক্স সামগ্রী বিক্রেতা সাইদিল বাংলানিউজকে বলেন, মেলায় বিভিন্ন পণ্যে ৩০ থেকে ৫০ শতাংশ পর্যন্ত ছাড় চলছে। তাই ক্রেতা বেশি। এছাড়া মেলা শেষের দিকে হওয়ায় সাড়া পাওয়া যাচ্ছে।
তিনি বলেন, মেলার অর্ধেক সময় পর্যন্ত বিক্রি কম ছিল। এখন দর্শনার্থী যেমন বেড়েছে পাশাপাশি বিক্রিও বাড়ছে।
মেলায় খাবারের মান আর মূল্য নিয়ে বিতর্ক থাকায় বিক্রি কমেছে আগের চেয়ে। কেন বিক্রি কমেছে এমন প্রশ্নের জবাবে নান্না বিরিয়ানী অ্যান্ড কাবাব হাউজের পরিচালক শান্ত বাংলানিউজকে বলেন, প্রথম দিকে অনেক স্টলে মূল্য নিয়ে বিতর্ক তৈরি করেছে। এর প্রভাব এখনও আছে, লোকসানে চলছে ব্যবসা। তবে আগামীতে বিক্রি বাড়বে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) তথ্য অনুযায়ী, আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি মাসব্যাপী বাণিজ্যমেলার পর্দা নামবে। মেলার গেট ও বিভিন্ন স্টল প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত খোলা থাকবে। প্রাপ্ত বয়স্কদের প্রবেশের জন্য টিকিটের মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৩০ টাকা এবং অপ্রাপ্ত বয়স্কদের জন্য ২০ টাকা। এবারই প্রথম মেলার টিকিট অনলাইনে পাওয়া যাচ্ছে।
মেলায় প্যাভিলিয়ন, মিনি-প্যাভিলিয়ন, রেস্তোরাঁ ও স্টলের মোট সংখ্যা ৬০৫টি। এর মধ্যে রয়েছে প্যাভিলিয়ন ১১০টি, মিনি-প্যাভিলিয়ন ৮৩টি ও রেস্তোরাঁসহ অন্যান্য স্টল ৪১২টি।
এবার বাংলাদেশ ছাড়াও ২৫টি দেশের ৫২টি প্রতিষ্ঠান মেলায় অংশ নিয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৪০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০২, ২০১৯
ইএআর/আরআইএস/