কারাগারের সাজাপ্রাপ্ত কয়েদিদের বানানো এসব পণ্যগুলোর লাভের অর্ধেক অংশ চলে যাবে তাদের পকেটে। চাইলে লাভের টাকা কয়েদির পরিবারের কাজে লাগাতে পারবেন।
সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, দোতলা বিশিষ্ট এ স্টলে পণ্যের পসরা সাজানো আছে। নির্দিষ্ট পণ্য কিনলে কম্পিউটারের মাধ্যমে ক্রেতাদের পণ্যের মূল্য রশিদ দেওয়া হচ্ছে। স্টলটিতে কর্মরত সবাই কারাগারের স্টাফ, জেলার কিংবা জেল পুলিশ। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত দুই শিফটে ডিউটি করেছেন এসব কর্মকর্তারা।
স্টলটিতে রয়েছে দৃষ্টিনন্দন সিংহাসন। সম্পন্ন কাঠের তৈরি এ সিংহাসন আগতদের নজর কাড়ছে। বড়-ছোট ও মাঝারি আকারের সিংহাসন রয়েছেন এবার। দেশের বিভিন্ন কারাগার থেকে এগুলো আনা হয়েছে। রয়েছে স্পেশাল মোড়া, ঝাড়ু, পুঁথির তৈরি হ্যান্ডব্যাগ, শোবিজসহ নানা পণ্য। দামও রয়েছে সাধ্যের মধ্যে। এ স্টলে ১০০ থেকে চার হাজার টাকার মধ্যে পাবেন এসব পণ্য। এছাড়া প্রথমবারের মতো এসেছে টি-শার্ট, পাঞ্জাবি, শার্ট। এগুলো দামও রয়েছে ক্রেতার সাধ্যের মধ্যে। মেলার এ স্টলে ১৫০ থেকে ৩২০ টাকার মধ্যে পাবেন টি-শার্ট, পাঞ্জাবি, শার্ট ও লুঙ্গি। বাইরের কোনো মার্কেট থেকে অনেক কম মূল্যে এসব পণ্য দেওয়া হচ্ছে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা। বাচ্চু নামে একজন দর্শনার্থী বাংলানিউজকে বলেন, ওই স্টল থেকে একটি টি-শার্ট নিলাম। দেখে মনে হয়েছে কোয়ালিটি ভালো। দামও কম। মার্কেট থেকে এটা ১৫০ টাকায় পাওয়া যেতো না। ওই স্টল থেকে আমার বন্ধু বেশকিছু পণ্য কিনেছেন। পরে তার কথা মতো ওই স্টল আসা। দামেও কম আছে।
স্টলটির ম্যানেজার ও ডেপুটি জেলার মো. আব্দুল্লাহিল ওয়ারেচ বাংলানিউজকে বলেন, এ বছর আমাদের রেকর্ড পরিমাণ বিক্রি হচ্ছে। প্রথম দিন থেকে অনেক স্টলে বিক্রি না হলেও আমাদের বিক্রি চলছে। তবে, দর্শনার্থীর সাড়া পাওয়ায় নিজেদের কাছেও ভালো লাগছে। এসব পণ্যের লাভের অর্ধেক অংশ যে কয়েদি বানিয়েছেন তিনি পাবেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১২, ২০২০
ইএআর/এএটি