আসামিরা হলেন- নেত্রকোনার দুর্গাপুর উপজেলার নোয়াগাঁও ইউনিয়নের খলিলুর রহমান (৭২), তার ভাই আজিজুর রহমান (৬৫), একই উপজেলার আলমপুর ইউনিয়নের আশক আলী (৮২) এবং জানিরগাঁও ইউনিয়নের শাহনেওয়াজ (৮৮)।
খলিলুর রহমান ছাড়া বাকিরা গ্রেফতার হয়ে কারাগারে রয়েছেন।
আসামিদের বিরুদ্ধে হত্যা, গণহত্যা অবৈধ আটক, নির্যাতন, অপহরণ, লুণ্ঠন, অগ্নিসংযোগে ধ্বংস করা, ধর্ষণ ও ধর্ষণের চেষ্টার পাঁচটি মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ আনা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ২২ জনকে হত্যা-গণহত্যা, একজনকে ধর্ষণ, একজনকে ধর্ষণের চেষ্টা, অপহৃত চারজনের মধ্যে দু’জনকে ক্যাম্পে নির্যাতন, ১৪-১৫টি বাড়িতে লুটপাট এবং সাতটি বাড়িতে অগ্নিসংযোগে ধ্বংস করার অভিযোগ। একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে দুর্গাপুর ও কলমাকান্দা থানা এলাকায় তারা এসব অপরাধ করেন বলেও অভিযোগে বলা হয়েছে।
মামলার পাঁচ আসামির মধ্যে রমজান আলী গ্রেফতার হয়ে গত বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যাওয়ায় তাকে মামলার অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
সোমবার (৩০ জানুয়ারি) রাজধানীর ধানমণ্ডিতে তদন্ত সংস্থার কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার ৪৬তম এ তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করেন সংস্থার প্রধান সমন্বয়ক আব্দুল হান্নান খান ও তদন্তকারী কর্মকর্তা মো. বদরুল আলম।
আব্দুল হান্নান খান জানান, শিগগিরই এ তদন্ত প্রতিবেদন প্রসিকিউশনের কাছে জমা দেওয়া হবে। এর ভিত্তিতে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ (ফরমাল চার্জ) তৈরি করে ট্রাইব্যুনালে দাখিল করা হবে।
আসামিদের বিরুদ্ধে ২০১৫ সালের ৩০ এপ্রিল থেকে তদন্ত শুরু করে সোমবার শেষ হয়। একজন তদন্তকারী কর্মকর্তা ও জব্দ তালিকার দু’জনসহ মোট ৮২ জন সাক্ষী সাক্ষ্য দেবেন।
আসামিদের মধ্যে খলিলুর রহমান ইসলামী ছাত্রসংঘের সদস্য ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধের সময় রাজাকার বাহিনীতে যোগ দেন। পরে চণ্ডিগড় ইউনিয়ন আলবদর বাহিনীর কমান্ডার হন। বর্তমানে তিনি জামায়াতের সমর্থক।
আজিজুর রহমান, আশক আলী ও শাহনেওয়াজ পাকিস্তান মুসলিম লীগের সমর্থক ও মুক্তিযুদ্ধের সময় রাজাকার বাহিনীর সদস্য ছিলেন। বর্তমানে তারাও জামায়াতের সমর্থক।
বাংলাদেশ সময়: ১৪১৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩০, ২০১৭
ইএস/জিপি/এসএইচ/এএসআর