সোমবার (৬ ফেব্রুয়ারি) বিচারপতি মো. শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বাধীন দুই সদস্যর বেঞ্চ এই আদেশ দেন। ট্রাইব্যুনালে রাষ্ট্রপক্ষে প্রসিকিউটর মোখলেসুর রহমান বাদল ও সাবিনা ইয়াসমিন মুন্নী এবং আসামিপক্ষে আইনজীবী গাজী এম এইচ তামিম শুনানি করেন।
এর আগে গত ২২ জানুয়ারি এই ১৪ জনের বিরুদ্ধে চূড়ান্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা।
১৪ আসামির মধ্যে ৫ জন গ্রেফতার হয়ে কারাগারে রয়েছেন। এরা হলেন খান আকরাম হোসেন (৬০), শেখ মোহম্মদ উকিল উদ্দিন (৬২), ইদ্রিস আলী মোল্লা (৬৪) মো. মকবুল মোল্লা (৭৯) ও মো. আব্দুল আলী মোল্লা (৬৫)।
আসামি ৫ জনকেই এদিন (সোমবার) ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। এর আগে গত বছরের ৯ নভেম্বর এদেরকে তদন্ত সংস্থার সেফহোমে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
প্রসিকিউটর মুন্নী সাংবাদিকদের বলেন, ‘রোববার মৌলভীবাজারের একটি মামলায় ট্রাইব্যুনাল পলাতক আসামিদের বিষয়ে একটি আদেশ দিয়েছিলেন। আজ (সোমবার) এ মামলাটির পলাতক আসামিদের বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে’।
তিনি জানান, ট্রাইব্যুনাল থেকে পলাতক আসামিদের ধরতে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হলেও তাদের সম্পর্কে প্রসিকিউশিন কিছু জানতে পারে না। আসামিদের ধরতে সংশ্লিষ্ট পুলিশ প্রশাসন আসলে কি পদক্ষেপ নিয়েছে সে বিষয়ে ট্রাইব্যুনাল, প্রসিকিউশন, তদন্ত সংস্থার স্পষ্ট ধারণা থাকা দরকার।
এ মামলায় পলাতক নয় আসামি হলেন খান আশরাফ আলী (৬৫), সুলতান আলী খাঁন (৬৮), মকছেদ আলী দিদার (৮৩), শেখ ইদ্রিস আলী (৬১), শেখ রফিকুল ইসলাম বাবুল (৬৪), রুস্তম আলী মোল্লা (৭০), মো. মনিরুজ্জামান হাওলাদার (৬৯), মো. হাশেম আলী শেখ (৭৯) ও মো. আজাহার আলী শিকদার (৬৪)।
আসামিরা মুসলিম লীগ ও পরে জামায়াতের সমর্থক হিসেবে রাজাকার বাহিনীতে যোগ দেয় বলে গত ২২ জানুয়ারি এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছিলেন তদন্ত সংস্থার প্রধান সমন্বয়ক আব্দুল হান্নান খান।
আসামিদের বিরুদ্ধে ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় হত্যা, গণহত্যা, ধর্ষণ, অবৈধভাবে আটক, নির্যাতন, অপহরণ, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগসহ সাতটি মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ আনা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৪০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৬, ২০১৭
জেপি/এটি