মঙ্গলবার (২৮ মার্চ) আসামি আব্দুস সাত্তারের আত্মসমর্পণের পর চেয়ারম্যান বিচারপতি মোহাম্মদ আনোয়ারুল হকের নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল তাকে কারাগারে পাঠান।
ট্রাইব্যুনালে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন প্রসিকিউটর রেজিয়া সুলতানা চমন।
এ মামলায় আসামি সংসদ সদস্য এম এ হান্নানসহ (৮০) হান্নানের ছেলে রফিক সাজ্জাদ (৬২), ডা. খন্দকার গোলাম সাব্বির আহমদ (৬৪), মিজানুর রহমান মিন্টু (৬৩) ও মো. হরমুজ আলী (৭৩) কারাগারে রয়েছেন।
পলাতক ছিলেন ফখরুজ্জামান (৬১), আব্দুস সাত্তার (৬৪) ও খন্দকার গোলাম রব্বানী (৬৩)। এর মধ্যে আব্দুস সাত্তার আত্মসমর্পণ করেন।
আনুষ্ঠানিক অভিযোগে তাদের বিরুদ্ধে হত্যা, গণহত্যা, ধর্ষণ, আটক, অপহরণ, নির্যাতন, গুম, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের ছয়টি মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ আনা হয়েছে।
একাত্তরে মহান মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে ২১ এপ্রিল থেকে ১০ ডিসেম্বর পর্যন্ত ত্রিশাল উপজেলায় তারা অপরাধগুলো সংঘটিত করেন বলে অভিযোগে বলা হয়েছে।
গত বছরের ১১ জুলাই হান্নানসহ আটজনের বিরুদ্ধে তদন্তের চূড়ান্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করেন তদন্ত সংস্থা। এ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মো. মতিউর রহমান গত বছরের ২৮ জুলাই থেকে গত ১১ জুলাই পর্যন্ত তদন্ত কাজ সম্পন্ন করেন।
২০১৫ সালের ০১ অক্টোবর প্রসিকিউশনের আবেদনক্রমে এ মামলার আট আসামির বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন ট্রাইব্যুনাল। পরে ওইদিনই ঢাকায় গ্রেফতার হন এম এ হান্নান ও তার ছেলে রফিক সাজ্জাদ। ময়মনসিংহ সদর ও ত্রিশালে গ্রেফতার হন অন্য তিনজন।
ওই বছরের ১৯ মে এমপি হান্নানসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে মামলাটি দায়ের করেন শহীদ মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আব্দুর রহমানের স্ত্রী রহিমা খাতুন।
মামলায় জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য এম এ হান্নান ছাড়াও জামায়াত নেতা ফখরুজ্জামান ও গোলাম রব্বানীকে আসামি করা হয়। পরে তদন্তে আরও পাঁচজনের সম্পৃক্ততা পাওয়ায় এ মামলার আসামি হয়েছেন মোট আটজন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৩ ঘণ্টা, মার্চ ২৮, ২০১৭
ইএস/জেডএস/এএসআর