মঙ্গলবার (০৩ অক্টোবর) ঢাকার ৩ নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক সাঈদ আহমেদ চাঞ্চল্যকর এ হত্যা মামলার রায় ঘোষণা করেন।
আসামিরা মামলার শুরু থেকেই গ্রেফতার হয়ে কারাগারে আটক আছেন।
গত বছরের ০৪ জুন সন্ধ্যায় উত্তরার নিজ বাড়িতে খুন হন মনোয়ারা সুলতানা। নিহতের ছেলে লে. কর্নেল মোহাম্মদ খালিদ বিন ইউসুফ উত্তরা পশ্চিম থানায় মামলাটি দায়ের করেন।
সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার আসাদুজ্জামান মামলাটির তদন্ত শেষে নিহতের বাড়ির দারোয়ান গোলাম নবী রবি ও ভাড়াটিয়া লাইলী আক্তার লাবণ্যের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।
চার্জশিটভূক্ত ২২ সাক্ষীর মধ্যে ২০ জনের সাক্ষ্য নিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল।
মামলার নথি পর্যালোচনায় জানা গেছে, নিহত মনোয়ারা সুলতানা উত্তরার ৯ নম্বর সেক্টরে তার নিজ বাড়ির দোতলায় একা থাকতেন। তার দুই ছেলে বিদেশে ও এক ছেলে সেনাবাহিনীতে চাকরি করেন।
বাড়ির তৃতীয় তলার ভাড়াটিয়ার বাসায় অসামাজিক কাজকর্ম চলে সন্দেহে তাকে বাসা ছেড়ে দিতে চাপ দেন মনোয়ারা। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ভাড়াটিয়া লাবণ্য দারোয়ান রবিকে হত্যায় প্রলুব্ধ করেন। তাকে বোঝানো হয়, হত্যার পর বাড়িতে অনেক স্বর্ণ ও টাকা-পয়সা পাওয়া যাবে।
এতে দারোয়ান প্রলুব্ধ হয়ে গত বছরের ০৪ জুন সন্ধ্যার পর ছুরিকাঘাতে মনোয়ারাকে হত্যা করে নগদ এক লাখ ১৩ হাজার টাকা লুটে নিয়ে পালিয়ে যান।
গ্রেফতারের পর আসামি রবি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
আসামিপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন অ্যাডভোকেট ফারুক আহমেদ। বাদীপক্ষে ছিলেন সংশ্লিষ্ট আদালতের স্পেশাল পিপি মো. মাহবুবুর রহমান।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৪০ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৩, ২০১৭
এমআই/এএসআর