রোববার (১০ ডিসেম্বর) ঢাকার ৪ নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক আবদুর রহমান কারাগারে থাকা ওই আসামির উপস্থিতিতে এ রায় দেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত রাব্বি পল্লবী থানার নন-লোকাল রিলিফ ক্যাম্পের মৃত ইসমাইল হোসেনের ছেলে।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, সায়েরা খাতুন আলো তার স্বামী সোহেলকে নিয়ে পল্লবীতে ভাড়া বাসায় থাকতেন। আলো অ্যামব্রয়ডারির কাজ করতেন।
২০১৩ সালের ৬ সেপ্টেম্বর বিকেলে আলোর বন্ধক দেওয়া স্বর্ণের চেইন ছাড়াতে ২০ হাজার টাকাসহ দেবর রাব্বিকে নিয়ে বাসা থেকে বের হন।
এরপর ওইদিন রাত সাড়ে ৮টার দিকে আলোর মোবাইল থেকে ফোন করে জানানো হয় তিনি খুন হয়েছেন। পরে পল্লবী থানার সেকশন-১১ এর আব্বাস উদ্দিন স্কুল সংলগ্ন এলাকা থেকে আলোর মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
ওই সময় আলোর শরীরে ধারালো অস্ত্রের আঘাত পাওয়া যায়। ঘটনার পর থেকে রাব্বি পলাতক ছিলেন। এরপর নিহতের ভাই মো. শাহজালাল বাদী হয়ে থানায় মামলা করেন।
পরবর্তীতে রাব্বিকে গ্রেফতার করে পুলিশ। আদালতে ভাবি আলোকে হত্যার কথা স্বীকারও করেন তিনি। ২০১৪ সালের ৩০ এপ্রিল তদন্ত শেষে আদালতে চাজশিট জমা দেয় পুলিশ।
রায়ের পর্যবেক্ষণে আদালত বলেন, বর্তমান সমাজে অহরহ খুনের ঘটনা ঘটছে। দেশে আইনের শাসন ও ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠার জন্য এ ধরনের মামলায় আসামির উপযুক্ত বিচার হওয়া আবশ্যক।
এই মামলার আসামির দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি না হলে এ ধরনের নির্মম, নিষ্ঠুর ও নৃশংসভাবে হত্যাসহ এ জাতীয় অভিশাপ থেকে সমাজকে মুক্তি দেওয়া সম্ভব না।
‘আসামিকে এ মামলার দণ্ড দেওয়ার ক্ষেত্রে আইনত বা ন্যায়ত কোনো সুযোগ বা আদালত থেকে আসামি কোনো প্রকার অনুকম্পা/দয়া পেতে পারে না,’ বলেন আদালত।
বাংলাদেশ সময়: ১৮১৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১০, ২০১৭
এমআই/এমএ/