যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে মঙ্গলবার (২৭ মার্চ) মামলাটি রায়ের জন্য অপেক্ষমান (সিএভি) রেখে আদেশ দেন চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল।
ট্রাইব্যুনালে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন প্রসিকিউটর হায়দার আলী ও শেখ মুশফেক কবীর।
গত বছরের ৭ মে এ মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ (চার্জ) গঠন করেছিলেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
এই মামলার চার আসামি হলেন- মো. আকমল আলী তালুকদার (৭৬), আব্দুন নুর তালুকদার ওরফে লাল মিয়া (৬২), মো. আনিছ মিয়া (৭৬) ও মো. আব্দুল মোছাব্বির মিয়া(৬৪)। তাদের মধ্যে গ্রেফতার হয়ে কারাগারে রয়েছে আকমল আলী তালুকদার। বাকি তিনজন পলাতক।
আসামিদের বিরুদ্ধে হত্যা-গণহত্যা, ধর্ষণ, অপহরণ, আটক, নির্যাতন, মরদেহ গুম, লুণ্ঠন ও অগ্নিসংযোগসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের দু’টি অভিযোগ আনা হয়েছে। এরমধ্যে রয়েছে ৬১ জনকে হত্যা-গণহত্যা ও ৬ জনকে ধর্ষণের অভিযোগ।
তারা একাত্তরের ০৭ মে থেকে ২৪ নভেম্বর পর্যন্ত রাজনগর উপজেলার পাঁচগাঁও ও পশ্চিমভাগ গ্রামে এসব মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটন করেছেন বলে অভিযোগে বলা হয়েছে।
২০১৫ সালের ২৬ নভেম্বর ওই চারজনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন ট্রাইব্যুনাল। ওই দিনই রাজনগর উপজেলার পাঁচগাঁও গ্রাম থেকে আকমল আলীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে ট্রাইব্যুনাল তাকে কারাগারে পাঠিয়ে দেন। তিনি মৌলভীবাজার টাউন সিনিয়র কামিল মাদ্রাসার অবসরপ্রাপ্ত উপাধ্যক্ষ।
২০১৬ সালের ২৩ মার্চ এ চারজনের বিরুদ্ধে তদন্তের চূড়ান্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করেন ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা। এর ভিত্তিতে তাদের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ (ফরমাল চার্জ) তৈরি করে ট্রাইব্যুনালে দাখিল করেন প্রসিকিউশন।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৩৩ ঘণ্টা, মার্চ ২৭, ২০১৮
ইএস/এমএ