বিএনপির একজন ভাইস চেয়ারম্যানের করা রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি শেষে সোমবার (০২ এপ্রিল) বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী এবং বিচারপতি মো. আশরাফুল কামালের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।
একই সঙ্গে ওই চার নেতাকে গ্রেফতারে জড়িত সদস্যদের বিরুদ্ধে শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে কেন বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে না, তাও জানতে চেয়েছেন আদালত।
চার সপ্তাহের মধ্যে স্বরাষ্ট্র সচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক, ঢাকা মহানগর পুলিশের কমিশনার, রমনা জোনের পুলিশের উপ কমিশনার, গোয়েন্দা পুলিশের উত্তর জোনের অতিরিক্ত কমিশনার, দক্ষিণ জোনের উপ কমিশনার, পুলিশের রমনা জোনের অতিরিক্ত উপ পুলিশ কমিশনারসহ ১৪ বিবাদীকে চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
গত ২৯ মার্চ আদালতে রিট আবেদনটি করেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অবসরপ্রাপ্ত) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ।
রিট আবেদনে বলা হয়, গত ২৪ ফেব্রুয়ারি বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব মোয়াজ্জেম হোসেন আলালকে, ৬ মার্চ স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি শফিউল বারী বাবুকে ৮ মার্চ ছাত্রদলের ঢাকা উত্তরের সভাপতি এস এম মিজানুর রহমান রাজকে এবং ৬ মার্চ ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রদলের সহ সভাপতি জাকির হোসেন মিলনকে সাদা পোশোকে গ্রেফতার করা হয়।
মিলনকে শাহবাগ থানার এক মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে ৩ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়। কিন্তু মিলনের পরিবার তার সঙ্গে সাক্ষাত করতে পারেনি। পরে ১২ মার্চ জানতে পারেন মিলনের মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে আছে।
আবেদনটির পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ। সঙ্গে ছিলেন ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, মীর হেলাল প্রমুখ। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোতাহার হোসেন সাজু।
আদেশের পর ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ সাংবাদিকদের বলেন, এদের চারজনকে গ্রেফতারের পর রিমান্ডে নেওয়া হয়েছিল। এর মধ্যে মিলনের ওপর সম্ভবত অত্যাচার করা হয়েছে। পরে তার মৃত্যু হয়েছে। আমাদের আপিল বিভাগের একটি রায় আছে। কিভাবে গ্রেফতার করতে হবে, রিমান্ডে নেওয়ার ব্যাপারে অনেকগুলো বিষয় আছে। যেটা সকলের জন্য, প্রশাসনের জন্য বাধ্যতামূলক। খুবই পরিচ্ছন্ন এবং সুদূর প্রসারী রায়।
‘আদালতে তাদের গ্রেফতারের পর খবরের কাগজ দিয়েছি। যাতে উল্লেখ রয়েছে- কিভাবে গ্রেফতার করা হয়েছে। সম্পূর্ণভাবে এটা আইন ও সুপ্রিম কোর্টের সিদ্ধান্তের পরিপন্থী। আদালত রুল দিয়েছেন। কারণ দর্শানোর জন্য। আগামী ১ আগস্ট পরবর্তী শুনানি হবে,’ বলেন তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ০২, ২০১৮
ইএস/এমএ