রোববার (২২ এপ্রিল) ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের পাশে স্থাপিত (অস্থায়ী) ঢাকার ১ম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজের আদালত এ দিন ধার্য করেন।
এদিন অধিকতর তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার জন্য দিন ধার্য ছিল।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) আসাদুজ্জামান খান রচি বিষয়টি বাংলানিউজকে জানিয়েছেন।
২০১৪ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি সিআইডিকে অধিকতর তদন্ত করে ওই বছরের ২২ এপ্রিলের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেলেন আদালতের তৎকালীন বিচারক খন্দকার হাসান মো. ফিরোজ।
মামলার আসামিরা হলেন- সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ, মেজর (অব.) কাজী এমদাদুল হক ও লে. কর্নেল (অব.) মোস্তফা কামাল উদ্দিন ভূঁইয়া।
৫ আসামির মধ্যে হাইকোর্টের নির্দেশে স্থগিত আছে মেজর জেনারেল (অব.) আব্দুল লতিফ ওলে. কর্নেল (অব.) শামসুর রহমান শামসের বিরুদ্ধে মামলার কার্যক্রম।
চট্টগ্রামে তৎকালীন রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানকে হত্যার পর ১৯৮১ সালের ১ জুন মেজর জেনারেল মঞ্জুরকে পুলিশ হেফাজত থেকে চট্টগ্রাম সেনানিবাসে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর সেখানেই তাকে গুলি করে হত্যা করা হয়।
হত্যাকাণ্ডের ১৪ বছর পর ১৯৯৫ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি জেনারেল মঞ্জুরের বড় ভাই ব্যারিস্টার আবুল মনসুর আহমেদ বাদী হয়ে চট্টগ্রামের পাঁচলাইশ থানায় এ হত্যা মামলা করেন।
ওই বছরের ১৫ জুলাই আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন সহকারী পুলিশ সুপার আবদুল কাহহার আকন্দ। এর আগে ১ মার্চ আসামি এমদাদুল হক, ১২ মার্চ মোহাম্মদ আবদুল লতিফ ও শামসুর রহমান এবং ১৮ জুন মোস্তফা কামালকে গ্রেফতার করা হয়।
ওই বছরের ১১ জুন কারাগারে থাকা এরশাদকে এ মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়। বর্তমানে আসামিরা সবাই জামিনে রয়েছেন।
মামলা দায়েরের ১৯ বছর পর মামলাটি শেষ পর্যায়ে পৌঁছালেও বিচারক বদলি হওয়ায় তা আবার পিছিয়ে যায়। ২০১৪ সালের ২২ জানুয়ারি এ মামলার যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে বিচারক হোসনে আরা আকতার ওই বছরের ১০ ফেব্রুয়ারি রায়ের জন্যদিন ধার্য করেছিলেন। কিন্তু রায়ের মাত্র ১৩ দিন আগে ২৯ জানুয়ারি তিনি পরিবর্তন হওয়ায় মামলাটির বিচারের দায়িত্ব পান দ্বিতীয় অতিরিক্ত জেলা জজ হাসান মাহমুদ ফিরোজ।
হাসান মাহমুদ ফিরোজের আগে গত ১৯ বছরে বিভিন্ন সময়ে ২২ জন বিচারক এ মামলাটিতে বিচারক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, ১৯৮১ সালের ১ জুন জেনারেল মঞ্জুরকে পুলিশ হেফাজত থেকে চট্টগ্রাম সেনানিবাসে নিয়ে গুলি করে হত্যা করা হয়।
মঞ্জুর হত্যা মামলায় মোট ৪৯ জন সাক্ষীর মধ্যে ২৮ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়েছে। সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হওয়ার পর ২০১২ সালের ২ অক্টোবর আত্মপক্ষ সমর্থন করে নিজেকে নির্দোষ দাবি করেন এরশাদ। এর সমর্থনে আদালতে লিখিত বক্তব্যও দাখিল করেন তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১২১০ ঘণ্টা, এপ্রিল ২২, ২০১৮
এমআই/এমএ