মঙ্গলবার (০২ জুলাই) ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মজিবুর রহমানের আদালতে সাক্ষ্য দেন তারা। তারা হলেন- ভারতীয় নাগরিক ডা. শরৎ প্রকাশ ও আসলাম হোসেন।
ভারতীয় নাগরিক ডা. শরৎ প্রকাশ আদালতে বলেন, ঘটনার দিন রাতে হলি আর্টিজান বেকারিতে খেতে যান। এর কিছুক্ষণ পর সন্ত্রাসীরা গুলি শুরু করে। সন্ত্রাসীদের কাছে নিজকে বাংলাদেশি নাগরিক বলে পরিচয় দিলে তারা আমাকে চুপচাপ টেবিলের নিচে মাথা নিচু করে থাকতে বলে।
‘আমি তাদের কথা মতো টেবিলের নিচে মাথা নিচু করে বসে থাকি। তবে আমার পাশে বসে থাকা একজন গুলিবিদ্ধ হন। সকালে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী আমাদের উদ্ধার করে। ’
এর আগে গত ২৫ জুন সাক্ষ্যগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। এ মামলায় ২১১ জন সাক্ষীর মধ্যে এখন পর্যন্ত ৬২ জন সাক্ষ্য দিয়েছেন ট্রাইব্যুনালে।
২০১৬ সালের ১ জুলাই গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে জঙ্গিরা হামলা চালিয়ে ১৭ বিদেশিসহ ২০ জনকে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করে। হামলার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গেলে পুলিশের ওপর গ্রেনেড হামলা চালায় জঙ্গিরা। এতে মহানগর ডিবি পুলিশের সহকারী কমিশনার (এসি) রবিউল ইসলাম ও বনানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সালাউদ্দিন নিহত হন।
এরপর ৪ জুলাই গুলশান থানার এসআই রিপন কুমার দাস বাদী হয়ে মামলা করেন। ২০১৮ সালের ২৩ জুলাই মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের পরিদর্শক হুমায়ূন কবির আদালতে আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। একই বছরের ২৬ নভেম্বর আট আসামির বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করা হয়। এরপর ৪ ডিসেম্বর থেকে শুরু হয় সাক্ষ্যগ্রহণ।
এ মামলার আসামিরা হলেন- হামলার মূল সমন্বয়ক বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত কানাডার নাগরিক তামিম চৌধুরীর সহযোগী আসলাম হোসেন ওরফে রাশেদ ওরফে আবু জাররা, ঘটনায় অস্ত্র ও বিস্ফোরক সরবরাহকারী নব্য জেএমবি নেতা হাদিসুর রহমান সাগর, নব্য জেএমবির অস্ত্র ও বিস্ফোরক শাখার প্রধান মিজানুর রহমান ওরফে বড় মিজান, জঙ্গি রাকিবুল হাসান রিগ্যান, জাহাঙ্গীর আলম ওরফে রাজীব ওরফে রাজীব গান্ধী, হামলার অন্যতম পরিকল্পনাকারী আব্দুস সবুর খান (হাসান) ওরফে সোহেল মাহফুজ, শরিফুল ইসলাম ও মামুনুর রশিদ ওরফে রিপন।
এর মধ্যে পলাতক মামুনুর রশিদ ওরফে রিপনকে গত ১৯ জানুয়ারি গাজীপুর এবং শরিফুল ইসলাম ওরফে আব্দুস সবুর খানকে ২৫ জানুয়ারি চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে গ্রেফতার করা হয়। সাক্ষ্যগ্রহণের সময় সব আসামিকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৮০০ ঘণ্টা, জুলাই ০২, ২০১৯
এমএআর/এমএ