রোববার (১৮ আগস্ট) দুপুরে জয়পুরহাট নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতে এ মামলাটি দায়ের করেন নিহতের মা নাহার বেগম।
আসামিরা হলেন- জয়পুরহাট সদরের চক মোহন গ্রামের মৃত আলেক উদ্দীন মণ্ডলের ছেলে ও মোহাম্মদাবাদ ইউপি চেয়ারম্যান আতাউর রহমান এবং একই ইউনিয়নের মণ্ডলপাড়া গ্রামের মৃত নেজাম উদ্দীন মণ্ডলের ছেলে মিজানুর রহমান নান্টু।
মামলা সূত্রে জানা যায়, চকমোহন গ্রামের বাসিন্দা মামুনুর রশিদ ও নাহার দম্পত্তির স্বামী পরিত্যক্তা মেয়ে রুবি পাঁচ বছর বয়সী একটি মেয়েকে নিয়ে বাবার বাড়িতে থাকতেন। বসবাস করাকালীন সময়ে রুবির সঙ্গে একই গ্রামের হিন্দু ধর্মাবলম্বী সুবাস পাহানের ছেলে অজিত পাহানের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এক পর্যায়ে গত ২৯ জুলাই তারা জয়পুরহাট আদালতে নোটারি পাবলিক কার্যালয়ে এফিডেভিট মূলে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে অজিত পাহানের নাম হয় আব্দুর রহমান এবং সেই নামেই তারা বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে সংসার করতে থাকেন। পরে ঘটনাটি জানাজানি হলে ১ আগস্ট দুপুরে ইউপি চেয়ারম্যান আতাউর তার কার্যালয়ে ওই দু’জনকে হাজির করে সালিশি বৈঠকের মাধ্যমে শারীরিক নির্যাতনসহ আদিবাসী যুবকের সঙ্গে বিয়ের ঘটনায় অপমানজনক ভর্ৎসনা করেন। এ ঘটনার পরের দিন ২ আগস্ট সকালে জয়পুরহাট সদরের পুরানাপৈল তাজপুর এলাকার রেললাইনে রুবির কাটা মরদেহ উদ্ধার হয়।
মামলায় বলা হয়েছে, ময়না-তদন্ত শেষে চেয়ারম্যান রুবির মরদেহ গ্রামের বাড়িতে দাফন করতে না দেওয়ায় অবশেষে তারা জয়পুরহাট শহরের সরকারি গোরস্থানে দাফন সম্পন্ন করেন। এ ঘটনায় ৩ আগস্ট সদর থানায় একটি মামলা করতে গেলে পুলিশ সেটি গ্রহণ না করে আদালতের যেতে বলায় অবশেষে রোববার (১৮ আগস্ট) দুপুরে জয়পুরহাট নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতে এ মামলাটি দায়ের করেন নিহতের মা। পরে আদালতের বিচারক ড. এবিএম মাহমুদুল হক পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) বগুড়াকে মামলাটি তদন্ত পূর্বক প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।
যোগাযোগ করা হলে জয়পুরহাট সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি, তদন্ত) রাইহান হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, সালিশি বৈঠকে নির্যাতন ও ভর্ৎসনা কারণে আত্মহত্যার কোনো ঘটনায় কেউ থানায় অভিযোগ দিতে আসেননি। এটি সম্পূর্ণ রুপে মিথ্যাচার।
বাংলাদেশ সময়: ২১৩০ ঘণ্টা, আগস্ট ১৮, ২০১৯
এসআরএস