সোমবার (১৮ নভেম্বর) দুপুরে টাঙ্গাইলের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক বেগম খালেদা ইয়াসমিন এ রায় দেন। এসময় আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত যুবরাজ টাঙ্গাইলের দেলদুয়ার উপজেলার মীর কুমুল্লী গ্রামের বাসিন্দা। তিনি টাঙ্গাইল পৌরসভার থানাপাড়া এলাকায় ভাড়া থাকতেন।
আদালতের বিশেষ সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) একেএম নাছিমুল আক্তার বাংলানিউজকে জানান, টাঙ্গাইল পৌরসভার থানাপাড়া এলাকায় বাড়ির মালিকের মেয়েকে বিভিন্ন সময় ভয় দেখিয়ে কৌশলে ধর্ষণ করতেন ভাড়াটিয়া যুবরাজ। এরই ধারাবাহিকতায় ২০১৮ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর সকালে মেয়েটি স্কুলে যাওয়ার সময় যুবরাজ তাকে অপহরণ করে দেলদুয়ার নিয়ে পুনরায় ধর্ষণ করেন। ধর্ষণের পর কারো কাছে বিষয়টি না জানানোর জন্য মেয়েটিকে হত্যার হুমকি দিয়ে বাড়ির সামনে রেখে যান। পরে মেয়েটি নিজের বাবা-মায়ের কাছে বিষয়টি জানায়। একই বছরের ১৮ নভেম্বর মেয়েটির বাবা বাদী হয়ে যুবরাজকে আসামি করে ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। পরদিন ১৯ নভেম্বর যুবরাজকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। এরপর থেকে আসামি যুবরাজ কারাগারেই ছিলেন।
মামলার সাক্ষ্য-শুনানি শেষে অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় সোমবার এ রায় দেন বিচারক।
বাংলাদেশ সময়: ১৭২৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৮, ২০১৯
এসআরএস