বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে এ রায় দেন সিরাজগঞ্জের নারী ও শিশু নির্যাতন বিশেষ ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক ফজলে খোদা মো. নাজির।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- একই উপজেলার পাঁচিল গ্রামের মোজাহার আলীর ছেলে মো. রাসেল ওরফে রবিউল (২৫), সুলতানের ছেলে নাজমুল (২৪), একই গ্রামের নুরু ওরফে নুর ইসলাম (২৬), আলতাফ কসাইয়ের ছেলে মোমিন (৩৪) এবং ভাটপিয়ারী গ্রামের ময়দান আলীর ছেলে সোহেল (২৬) ও দানেজ আলীর ছেলে রাজ্জাক (৪৪)।
এদের মধ্যে সোহেল ও মোমিন পলাতক রয়েছেন। অন্যরা রায় ঘোষণার সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
ট্রাইব্যুনালটির বিশেষ সরকারি কৌঁসুলি (এপিপি) অ্যাডভোকেট শেখ আব্দুল হামিদ লাবলু শেখ আব্দুল হামিদ লাবলু বাংলানিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মামলার বিবরণে জানা যায়, সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার ভাটপিয়ারী গ্রামের মৃত আবু সাইদের মেয়ের (১৮) সঙ্গে পাঁচিল গ্রামের রাসেলের মোবাইলফোনে প্রেম হয়। ২০১৬ সালের ২০ এপ্রিল রাতে ওই তরুণীকে ফোন করে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে যমুনা নদীর ভাটপিয়ার চরে আসতে বলে রাসেল। প্রেমিককে বিশ্বাস করে সেখানে মেয়েটি এলে রাজ্জাক, নাজমুল, নুরু ও সোহেলকে ফোন করে ডেকে আনা হয়। পরে মেয়েটিকে গণধর্ষণ করা হয়। সেসময় নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে তরুণী জ্ঞান হারিয়ে ফেললে তাকে আখক্ষেতে ফেলে রেখে পালিয়ে যায় ধর্ষকেরা। পরদিন ২২ এপ্রিল ভোরে মেয়েটির জ্ঞান ফিরলে অসুস্থ অবস্থায় বাড়ি ফেরার পথে অন্য আসামি মোমিন তাকে একা পেয়ে রাস্তার পাশে নিয়ে ধর্ষণ করে পালিয়ে যায়। পরে মেয়েটি ফোন করে তার বোন ও ভগ্নিপতিকে বিষয়টি জানালে অসুস্থ অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে সিরাজগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন তারা।
এ ঘটনায় ভিকটিমের ভাই শহীদুল ইসলাম বাদী হয়ে সিরাজগঞ্জ সদর থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্ত শেষে ৬ আসামির বিরুদ্ধে চার্জশিট (অভিযোগপত্র) দাখিল করেন পুলিশ। দীর্ঘ শুনানি ও সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় বৃহস্পতিবার এ রায় দেন বিচারক। আসামিদের মধ্যে সোহেল ও আব্দুল মোমিন পলাতক রয়েছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১২৩৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৭, ২০২০
এসআরএস