বৃষ্টির কারণে শনিবার (১২ আগস্ট) রাজ্যের সব স্কুল একদিনের জন্য ছুটি ঘোষণা করেছে ত্রিপুরার বিদ্যালয় শিক্ষা দফতর।
এদিকে শুক্রবার রাত পর্যন্ত রাজধানী আগরতলারসহ পশ্চিম জেলা ও খোয়াই জেলার বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত হয়েছে।
বন্যার কবল থেকে রেহাই পাননি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীও। মুখ্যমন্ত্রীর সরকারি বাস ভবনের সামনের রাস্তায়ও বৃষ্টির পানি জমেছে।
বন্যা দুর্গতদের উদ্ধার ও বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীকে (এনডিআরএফ) মাঠে নামানো হয়েছে। তারা ইঞ্জিন চালিত নৌকায় করে বন্যা কবলিত মানুষদের কাছে ত্রাণ পৌছে দিচ্ছেন।
আগরতলার আশেপাশের এলাকাতেই ২৩টি ত্রাণ শিবির খোলা হয়েছে। এতে আশ্রয় নিয়েছেন কয়েকশ’ মানুষ। তাদের সদর মহকুমা প্রশাসনের তরফ থেকে শুকনো খাবার দেয়া হচ্ছে।
অন্যদিকে দিনভর রাজ্যজুড়ে বৃষ্টি হওয়ায় পাহাড়ের পানি সমতলে নেমে এসেছে। এ কারণে হাওড়াসহ অন্যান্য নদীতে বিকেলের দিকে পানির স্তর আরো বেড়েছে।
এভাবে নদীতে পানি বাড়লে নতুন নতুন এলাকা বন্যা কবলিত হবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। তাই প্রশাসনের তরফে আগাম সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে বলে সদর মহকুমা শাসক সমিত রায় চৌধুরী জানিয়েছেন।
শাসক সিপিআই (এম) দলের একাধিক শাখা সংগঠন এবং ত্রিপুরা প্রদেশ বিজেপি'র নারী মোর্চার তরফে বন্যা দুর্গতদের উদ্ধারে সহায়তা ও খাবার বিতরণ করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ০৫৩৮ ঘণ্টা, আগস্ট ১২, ২০১৭
এসসিএন/এমএফআই/এসআই