রিয়াদ: বাংলাদেশি নারী শ্রমিক নিয়োগে অনীহা প্রকাশ করেছে সৌদি আরবের নিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানগুলো। সৌদি শ্রম মন্ত্রণালয় ঘোষিত মাথাপিছু ৭ হাজার সৌদি রিয়াল শ্রমিক নিয়োগ ফি নিয়ে অসন্তোষের সৃষ্টি হয়েছে।
এরই জের ধরে বাংলাদেশি নারীশ্রমিক নিতে অনীহা প্রকাশ করেছে তারা।
মঙ্গলবার স্থানীয় একটি আরবি পত্রিকায় এ সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। এ প্রতিবেদনে একজন নিয়োগকারীর উদ্ধৃতি দিয়ে বলা হয়, বাংলাদেশের শ্রমিক নিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানগুলো রীতিমতো গৃহকর্মী যোগান দিতে হিমশিম খাচ্ছে। কারণ, গৃহকর্মী নিয়োগের খরচ স্থানীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য ব্যয়বহুল; যা বিগত দিনের তুলনায় ৮০ শতাংশ বেশি।
এ ছাড়া এত অর্থ খরচ করে বেশির ভাগ গৃহকর্মীই সৌদি আরবে আসতে চান না।
প্রতিবেদনে স্থানীয় রিক্রুটমেন্ট বিশেষজ্ঞ আল মেঘিমিশের বরাত দিয়ে বলা হয়, খুব কম সংখ্যক বাংলাদেশি নাগরিকই এখন সৌদি আরবে চাকরির অনুসন্ধান করছেন। কারণ হিসেবে তিনি বলেন, একজন শ্রমিককে শুধু সৌদি আরবে নেওয়ার খরচ ১ হাজার মার্কিন ডলার (৩,৭৫১ সৌদি রিয়াল) থেকে বেড়ে ১ হাজার ৮০০ ডলারে (৬,৭৫২ সৌদি রিয়াল) দাঁড়িয়েছে। ফলে সৌদি আরবের শ্রম মন্ত্রণালয় একজন শ্রমিককে সৌদি আরবে নেওয়ার ক্ষেত্রে সর্বমোট খরচ ৭ হাজার রিয়ালের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখার আদেশ দিয়েছে। কিন্তু এ খরচে তা সম্ভব নয়।
বেশ কয়েকটি রিক্রুটিং এজেন্সিও একই অভিযোগ করেছে। তাদের দাবি, শ্রমিক নেওয়ার খরচ আগের চেয়ে ৮০ শতাংশ বেড়েছে।
তিনি জানান, সৌদি শ্রম মন্ত্রণালয় বাংলাদেশ থেকে যে ৫ লাখ বাংলাদেশি গৃহশ্রমিক নেওয়ার কথা বলেছিল, তা বাস্তবায়নেরও কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। বর্তমানে প্রতি সপ্তাহে মাত্র চার থেকে পাঁচজন বাংলাদেশি শ্রমিককে সৌদি আরবে আনা হচ্ছে।
মেঘিমিশ বলেন, বাংলাদেশে প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের সংখ্যাও অপ্রতুল। তাছাড়া মাত্র চার মাসের প্রশিক্ষণ দিতেও অনেক বেশি সময় ব্যয় করা হচ্ছে। এতে শ্রমিকদের ভোগান্তিও বাড়ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭২৪ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০২, ২০১৫
এবি