মেলা প্রাঙ্গণ থেকে: একটি রিকশা। পাশেই রাতের অন্ধকার মারিয়ে নব বধূকে ঘরে তোলার জন্য একটি সুসজ্জিত পালকি।
আর এমন একটি অন্য রকম বাংলাদেশ দেখা গেলো মদীনা ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় এর মোহাম্মদ বিন ইব্রাহীম অডিটোরিয়ামে।
মাত্র ১২ মিটার জায়গার মধ্যে একটি বাংলাদেশ বানানোর একটাই কারণ আর তা হলো বিশ্বের বুকে বাংলাদেশকে তুলে ধরা।
মঙ্গলবার (২৯ মার্চ) মদীনা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের উদ্যোগে শুরু হয়েছে ৫ দিনের আন্তর্জাতিক ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি মেলার। মেলায় বিশ্বের ৯৬টি দেশ এবারের মেলায় অংশ নিয়ে নিজ নিজ দেশের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি তুলে ধরছেন।
এদিন স্থানীয় সময় বেলা ১১টার কিছু পর মেলার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন মদীনার গভর্ণর ফয়সাল বিন আব্দুল আজিজ আল সৌদ। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ইব্রাহীম আল ওবাইদ, সৌদি আরবে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত গোলাম মসীহ, জেদ্দা বাংলাদেশ কনস্যুলেটের কনসাল জেনারেল একেএম শহীদুল করিমসহ বিভিন্ন দেশের কুটনৈতিকরা এসময় উপস্থিত ছিলেন।
মদীনা ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা মেলায় বাংলাদেশের পক্ষ থেকে বাংলাদেশের ইতিহাস-ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি তুল ধরছেন।
প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে দুপুর ১২টা এবং বিকাল ৫টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত চলবে এই মেলা।
মেলা প্রাঙ্গণে প্রবেশ করে ডান দিকের প্রথম স্টলেই দেখা মিলবে লাল-সবুজের পতাকাবাহী বাংলাদেশের।
তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় রাষ্ট্রদূত গোলাম মসীহ বাংলানিউজকে বলেন, বাংলাদেশ ছোট হতে পারে কিন্তু মেধার দিক থেকে ছোট নয়। আয়োজন ভালো হয়েছে আশাকরি প্রতিযোগিতায় ভালো একটা স্থান পাবে।
জেদ্দা কনস্যুলেটের কনসাল জেনারেল একেএম শহীদুল করিম বাংলানিউজকে বলেন, বাংলাদেশের রয়েছে হাজার বছরের ইতিহাস। আমাদের সংস্কৃতিও সমৃদ্ধ। এখানে যারা রয়েছেন তারা খুব সুন্দরভাবে বাংলাদেশকে তুলে ধরেছেন, বাংলাদেশের প্রকৃতিকে এখানে নিয়ে এসেছেন। যারা কষ্ট করে এই আয়োজন করেছেন তাদেরকে ধন্যবাদ জানাই।
বাংলাদেশ স্টলের প্রধান সোহেল আহমেদ বাংলানিউজকে বলেন, অন্যান্য দেশের প্রস্তুতি দেখে আমরা কিছুটা চিন্তিত তবুও আমরা প্রথম হবো বলে আশা করি। আমরা আমাদের সবটুকু মেধা দিয়ে চেষ্টা করেছি।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি বিশ্বের বুকে তুলে ধরার জন্য ইতিমধ্যে রিকশা, নৌকা, লাঙ্গল, পালকি, নকশী কাথা, বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের জার্সি, জামদানী শাড়ী, মৃৎ শিল্প, দেশীয় ১২০ ধরনের খাবারসহ অনেক কিছুই সংগ্রহ করা হয়েছে।
মেলায় আগত দর্শনার্থীরাও বাংলাদেশ স্টলের পরিবেশনা দেখে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।
মেলায় অংশগ্রহনকারী স্টলগুলোর উপস্থাপনার উপর রেটিং করে পুরস্কার দিয়ে থাকেন। ২০১৫ সালের মেলায় বাংলাদেশ তৃতীয় স্থান লাভের গৌরব অর্জন করেছিলো।
বাংলাদেশ সময়: ০১৪৮ ঘণ্টা, মার্চ ৩০, ২০১৬
বিএস