রিয়াদ: প্রবাসীদের কাছে বর্তমানে সবচেয়ে আলোচিত বিষয় সৌদি আরবের গ্রিন কার্ড ইস্যু। কারা পাচ্ছেন এই গ্রিন কার্ড? কি কি শর্তে দেয়া হবে এই গ্রিন কার্ড? এই প্রশ্ন এখন সৌদি প্রবাসী বাংলাদেশিদের মুখে মুখে।
সম্প্রতি এই প্রশ্নের কিছুটা উত্তর দিলেন দেশটির শুরা কাউন্সিলের কয়েকজন কর্মকর্তা। তাদের মতে এই গ্রিন কার্ড শুধুমাত্র সৌদি আরবে বিদেশি বিনিয়োগকারী এবং অধিক যোগ্যতাসম্পন্ন প্রবাসীদেরকেই দেয়া হবে। এই বিষয়ে মন্ত্রণালয়ে একটি প্রস্তাব নিয়ে স্টাডি চলছে। আর এই স্টাডি শেষ হলে খুব দ্রুত বিস্তারিত জানানো হবে।
জানা গেছে, গ্রিনকার্ড বিষয়ে নীতিমালা চূড়ান্ত করতে যাচ্ছে সৌদি সরকার। শুধুমাত্র বিদেশি বিনিয়োগকারী আর দক্ষ পেশাজীবীরাই পাবেন এ গ্রিনকার্ড। সৌদি আরবের সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারণী মহল থেকে এমন তথ্য পাওয়া গেছে।
ইতিপূর্বে ব্লুমবার্গকে দেয়া সৌদি ডেপুটি ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান এর সাক্ষাৎকারে বিদেশি নাগরিকদের জন্য গ্রিনকার্ড চালুর বিষয়টি উঠে আসে।
আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম কমে যাওয়ায় সৌদি আরব তেলের উপর নির্ভরতা কমিয়ে ব্যবসা ও অন্যান্য খাতের সক্ষমতা বাড়িয়ে ২০৩০ সালের মধ্যে ২ ট্রিলিয়ন ডলারের একটি বিশাল ফান্ড তৈরি করার এক সমন্বিত পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে, যার নাম দেয়া হয়েছে ভিশন-২০৩০।
সৌদি ইকোনোমিক কাউন্সিলের ভাইস প্রেসেডেন্ট ফাহাদ বিন জুমা বলেন, আমরা দক্ষ বিদেশি নাগরিকদের মাধ্যমে সৃষ্ট অর্থনৈতিক ফসল ঘরে তুলতে চাই। গ্রিন কার্ডের নিয়মকানুন পুরোপুরিই আমেরিকার গ্রিনকার্ডের আদলে হবে। আমাদের সরকার দক্ষ বিদেশি নাগরিক ও বিনিয়োগকারীদের থেকে অর্থনৈতিক এ সুবিধা গ্রহণ করতে আগ্রহী।
শুরা কাউন্সিলের এক সদস্য আওয়াদ আল আসিরি বলেন, গ্রিনকার্ড পদ্ধতির মাধ্যমে অনেক বিদেশি নাগরিকও সুবিধা গ্রহণ করতে পারবেন। যার মাধ্যমে সৌদি আরবে বিদেশি বিনিয়োগ বাড়বে। আর গ্রিনকার্ড গ্রহণের ফি বাবদ প্রাপ্ত অর্থের মাধ্যমে সৌদি আরব লাভবান হবে।
ধারণা করা হচ্ছে এ পদ্ধতিতে বছরে প্রায় ১০ বিলিয়ন ডলার অর্থ দেশের ভেতর খরচ হবে- যা বর্তমানে বিদেশি নাগরিকরা রেমিটেন্স এর মাধ্যমে সৌদি আরবের বাইরে প্রেরণ করে থাকেন। সৌদি আরবে বর্তমানে প্রায় ১ কোটির মত বিদেশি নাগরিক অবস্থান করছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৮১৭ ঘণ্টা, জুন ১৫, ২০১৬
আরআই