রিয়াদ: দীর্ঘ ছয় বছর পর দেশে যাচ্ছেন প্রবাসী বাংলাদেশি আফজাল হোসেন। দেশে ফিরে বাচ্চাদের জন্য ঈদের কেনাকাটা করার জন্য একটু আগেভাগেই রিয়াদ থেকে ঢাকা যাওয়ার প্লেনের টিকিট নেন তিনি।
যথাসময়ে এয়ারপোর্ট গেলেন, মালামাল বুকিং দিলেন, নিলেন বোর্ডিং কার্ডও। তবে ফ্লাইটে উঠতে পারেননি তিনি। উঠতে হয়েছে একটি আবাসিক হোটেলে।
আফজাল হোসেন বলেন, অন্যরা নিষেধ করা সত্বেও দেশের কথা চিন্তা করে প্লেনের টিকিট কিনেছিলাম। এখন তার ফল ভোগ করছি।
শুধু আফজাল নয়, তার মতো অনেককেই দেশে ফেরার বদলে যেতে হচ্ছে আবাসিক হোটেলে।
জানা যায়, প্রয়োজনের তুলনায় ছোট আকারের এয়ারক্রাফট আসায় এ সমস্যায় পড়তে হচ্ছে যাত্রীদের। সেই সঙ্গে রয়েছে নানা অনিয়ম ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের স্বজনপ্রীতি।
১ সেপ্টেম্বরের ফ্লাইটের একজন যাত্রী নামপ্রকাশ না করার শর্তে বাংলানিউজকে বলেন, টিকিট ঠিক থাকা সত্বেও বিমানের সিট স্বল্পতার কথা বলে আমাকে হোটেলে নিয়ে যাওয়া হয়। পরের ফ্লাইটে যেতে দেওয়া হবে বলে তখন আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল।
‘কিন্তু আজ চারদিন হয়ে যাচ্ছে, আমি যেতে পারছিনা। ’, যোগ করেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, আমার সঙ্গে থাকা বেশ কয়েকজন ২০০ থেকে ২৫০ রিয়াল ঘুষ দিয়ে পরেরদিন চলে গেছেন। তবে আমার কাছে টাকা না থাকায় আমি যেতে পারছিনা।
রোববার (০৪ সেপ্টেম্বর ) বিমানের রিয়াদের বিমান অফিসে গিয়ে দেখা যায় ফেরত আসা যাত্রীদের ভিড়। থেমে থেমে বিমানের স্টাফদের সঙ্গে তর্কে জড়িয়ে পড়ছেন অনেকেই।
যাত্রীরা জানান, প্রতিদিনই দেরি হচ্ছে ফ্লাইট। আর সে খবর আগেভাগে জানতেও পারছেন না তারা।
কিং সৌদ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মুহসিন মঙ্গলবার (৬ সেপ্টেম্বর) সকালে ঢাকায় একটি সেমিনারে অংশ নেওয়ার জন্য ৫ তারিখের টিকিট নেন । ফ্লাইটের একদিন আগে নিজ থেকেই টিকিট চেক করতে গিয়ে দেখেন ফ্লাইট ডিলে প্রায় ১৩ ঘণ্টা।
বিষয়টি নিয়ে সংশ্লিষ্ট অফিসে যোগাযোগ করলে অসহায়ত্ব প্রকাশ করেন বিমানের কর্মকর্তারা।
এদিকে ঈদের এই গুরুত্বপূর্ণ সময়ে বিমানের ফ্লাইট ডিলে আর ছোট এয়ারক্রাফট দেয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে ট্রাভেল এজেন্সি মালিকরা।
বাংলাদেশ সময়: ০০৩৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৫, ২০১৬
আরএইচএস