ঢাকা: পাঁচ তারকা হোটেল, মোটেল ও কটেজ, ওয়াটার ভিলা, নাইট ক্লাব, সুইমিংপুল, কনভেনশন হল, বিনোদন পার্কসহ বিদেশি পর্যটকদের বিনোদনের সব চাহিদা পূরণ করে দেশে আলাদাভাবে এক্সক্লুসিভ ট্যুরিস্ট জোন বা বিশেষ পর্যটন এলাকা তৈরির কাজ এগিয়ে যাচ্ছে।
কক্সবাজারের সাবরাংয়ে প্রায় ১১শ’ একর ভূমি নিয়ে এক্সক্লুসিভ ট্যুরিস্ট জোনটি বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের (বেজা) অধীনে দেওয়া হয়েছে।
বাংলানিউজের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে এ তথ্য জানান করপোরেশনের ‘ন্যাশনাল হোটেল অ্যান্ড ট্যুরিজম ট্রেনিং ইনস্টিটিউট’ (এনএইচটিটিআই) অধ্যক্ষ ও পরিচালক (বিপণন) পারভেজ আহমেদ চৌধুরী।
সম্প্রতি রাজধানীর মহাখালীতে নিজের অফিসে বসেই বাংলানিউজের সঙ্গে কথা বলেন তিনি।
দেশের পর্যটন বিকাশে বর্ষ ঘোষণার আগে থেকেই কাজ শুরু হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, পর্যটন যেখানে পৃথিবীর অর্থনীতি চাঙ্গা করছে সেখানে বাংলাদেশের এ সম্ভাবনা আরও বেশি। পর্যটন বর্ষের প্রি-ইভেন্ট হিসেবে যে প্রিভিলেজ কার্ড বের করা হয়েছিলো এখন পর্যন্ত প্রায় ৬ হাজার কার্ড পর্যটকরা নিয়েছেন।
চাহিদা বাড়ায় দু’দফায় ৫ হাজার করে ১০ হাজার প্রিভিলেজ কার্ড বের করেছে পর্যটন করপোরেশন। এ প্রিভিলেজ কার্ডে পর্যটকরা পর্যটন করপোরেশনের সব হোটেল-মোটেলে তিনদিনের জন্য ৩টি রুমে ৩০ শতাংশ ছাড় পাবেন। পর্যটন করপোরেশনের বাণিজ্যিক বিভাগ থেকে ৩শ’ টাকার বিনিময়ে কার্ড সংগ্রহ করা যায়, বলেন পারভেজ আহমেদ চৌধুরী।
গত বছর বিশ্ব পর্যটন সংস্থার থিম ‘শত কোটি পর্যটক শত কোটি সম্ভাবনা’ উল্লেখ করে পারভেজ আহমেদ চৌধুরী বলেন, আমাদের অবারিত সম্ভাবনা আছে। বিদেশিরা বাংলাদেশের গ্রাম পছন্দ করেন। তারা মেঠোপথে হাঁটতে যেতে চান। সুপারির গাছের খোলে বসে চড়তে মজা পান। গ্রাম বাংলার এ অনন্য বৈশিষ্ট্যগুলো পৃথিবীর আর কোথাও নেই।
এক্ষেত্রে নিজের গ্রাম থেকেই পর্যটন শুরু করার বিষয়টি তাগিদ দিয়ে তিনি বলেন, পর্যটন করপোরেশন গ্রামভিত্তিক পর্যটনকে গুরুত্ব দিচ্ছে। নিজের গ্রাম ‘এক্সপ্লোর’ করে যেকেউ পর্যটনে ভূমিকা রাখতে পারেন।
আলোচনায় তরুণ উদ্যোক্তা আর ইয়ুথ ট্যুরিজম প্রসঙ্গ তুলে পারভেজ আহমেদ চৌধুরী বলেন, এশিয়ান ট্যুরিস্টদের মধ্যে শতকরা ৩৫ ভাগ তরুণ। দেশের ভেতরে তরুণরা ঘুরে বেড়াচ্ছে এক স্থান থেকে আরেক স্থানে। সেই সঙ্গে নতুন নতুন পর্যটন উদ্যোগও বের হচ্ছে।
তিনি জানান, পর্যটন বর্ষের ইভেন্ট ক্যালেন্ডার খুব শিগগিরই ছাপা আকারে আসছে। প্রথমবারের মতো বাংলাদেশের পর্যটনে যোগ হওয়া ‘বরিশাল ব্যাক ওয়াটার অ্যান্ড ভিলেজ’ ট্যুরিজমকে ইভেন্ট ক্যালেন্ডারে নিয়ে আসা হয়েছে। নতুন এ পর্যটন উদ্যোগ বাস্তবায়নে ‘ট্রিপ টু বাংলাদেশের’র সঙ্গে যৌথভাবে কাজ শুরু করবে পর্যটন করপোরেশন।
তিনি আরও বলেন, পর্যটন করপোরেশন সম্প্রতি ব্র্যাক ফুড অ্যান্ড ডেইরির সঙ্গে সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। যার ফলে ভালো মানের খাবার উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে পর্যটন বিকাশে করপোরেশনের সঙ্গে একযোগে কাজ করবে ব্র্যাক ফুড অ্যান্ড ডেইরি।
সার্ফিং বাংলাদেশের পর্যটনের আরেক সম্ভাবনা উল্লেখ করে তিনি বলেন, কক্সবাজারের স্বচ্ছ পানি ও পানির নিচে কোনো পাথর নেই বলে সেখানে সার্ফিং খুবই সম্ভাবনাময়। এপ্রিলেই পর্যটন করপোরেশন সেখানে সার্ফিং ইভেন্ট করবে যেখানে, অনেক বিদেশিও যোগ দেবে।
বাংলাদেশ সময়:০৮২৭ ঘণ্টা, মার্চ ২৮, ২০১৬
এসএ/এসএম/জেডএস