ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বছরজুড়ে দেশ ঘুরে

নতুন পরিকল্পনায় সাজছে কক্সবাজার

সাব্বির আহমেদ, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯০৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ৫, ২০১৬
নতুন পরিকল্পনায় সাজছে কক্সবাজার ছবি: দেলোয়ার হোসেন বাদল-বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: ‘শৈবাল ইজ দ্যা বেস্ট হলিডে রিসোর্ট ইন বাংলাদেশ’- পুরনো দিনের অভিজ্ঞতায় একথা বলছিলেন বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনের ‘ন্যাশনাল হোটেল অ্যান্ড ট্যুরিজম ট্রেনিং ইনস্টিটিউট’র অধ্যক্ষ পারভেজ আহমেদ চৌধুরী।

যদিও এখন ঝোঁকটা লাবনী বিচ থেকে শুরু করে অন্যদিকে চলে গেছে।

তবে আবারও সেই আকর্ষণ ফিরিয়ে আনতে নতুন পরিকল্পনায় অত্যাধুনিক সুবিধা যুক্ত করে ৮০০ কোটি টাকার পরিকল্পনায় এগুচ্ছে বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশন। পাশাপাশি সাবরাংয়ে তৈরি হচ্ছে বিদেশি পর্যটকদের জন্য ‘বিশেষ ট্যুরিস্ট জোন’।
 
পরিকল্পনা অনুযায়ী, কক্সাবাজারে পাঁচ তারকা মানের সব সুবিধা দিয়ে নতুন করে সাজবে হোটেল শৈবাল। আর পর্যটন হোটেল ‘প্রবাল’-এ হবে একটি ট্রেনিং ইনস্টিটিউট। সরকারি বেসরকারি অংশীদারিত্বের (পিপিপি) ভিত্তিতে এর বাস্তবায়নে আগ্রহী বাংলাদেশ, সিঙ্গাপুর ও থাইল্যান্ডের চারটি প্রতিষ্ঠান।

আগামী জুলাইয়ের মধ্যে দক্ষতা যাচাই সাপেক্ষে একটি প্রতিষ্ঠানকে এ পরিকল্পনা বাস্তবায়নের দায়িত্ব দেওয়া হবে। ওয়াচ টাওয়ার, শপিংমল, ফুড কোট, সিনেপ্লেক্স, সুইমিংপুল, ব্যায়ামাগারসহ সব সুবিধাই থাকবে।
 
৮০০ কোটি টাকার এই প্রকল্প ঘিরে বদলে যাবে পর্যটন স্বর্গ কক্সবাজার- এমন আশাবাদ পর্যটন করপোরেশনের।

পর্যটন করপোরেশন জানায়, শুধু শৈবাল নয়, উপলেও আসছে পরিবর্তন। কক্সবাজার ঘিরে এখন নতুন করে অ্যাডভেঞ্জার ট্যুরিজম বাড়াতে মনোযোগী পর্যটন করপোরেশন।
 
করপোরেশনের ন্যাশনাল হোটেল অ্যান্ড ট্যুরিজম ট্রেনিং ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষ পারভেজ আহমেদ চৌধুরী বলেন, অ্যাডভেঞ্চার ট্যুরিজম হলো এখন প্রাইম অবজেকটিভ অব বাংলাদেশ। বুঝতে হবে, মানুষ শুধু রিলাক্স চায় না তারা এর সঙ্গে অ্যাক্টিভিটিস পছন্দ করে। যে কারণে পর্যটন করপোরেশন শিগগিরই বেস ক্যাম্পের সঙ্গে একটি সমঝোতা চুক্তি সাক্ষর করবে যেখানে অ্যাডভেঞ্জার ট্যুরিজম বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।
 
এরমধ্যে থাকবে, এয়ারো অ্যাডভেঞ্চার, ক্যাম্পিং, হাইকিং, ট্র্যাকিং, ক্লাইম্বিং, প্যারসেইলিং, সার্ফিং, স্নোরকলিং, স্কুবা ডাইভিং, সাইক্লিংসহ বিভিন্ন অ্যাডভেঞ্চার গিয়ার।
 
টেকনাফের নাফ নদীর সৌন্দর্য যেকোনো পর্যটককে বিশেষভাবে টানবে জানিয়ে তিনি বলেন, এটা একটা ফ্যানটাস্টিক প্লেস। সেখানে আমরা ক্যাবল কার সংযুক্ত করবো। এর একপাশ সমুদ্র থেকে উঠবে আর নাফ নদী পেরিয়ে ডিম্বাকৃতির আইল্যান্ডে গিয়ে নামবে।
 
আর বিদেশি পর্যটকদের জন্য অত্যাধুনিক সব সুবিধা দিয়ে স্বতন্ত্র একটি পরিবেশ তৈরি করতে সাবরাংয়ে ‘এক্সক্লুসিভ ট্যুরিজম জোন’ গড়ে তোলার কাজও এগুচ্ছে বলেও জানান পারভেজ আহমেদ চৌধুরী।
 
সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, বাংলাদেশ অথনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা ) পর্যটন খাতের আলোচিত এ মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন করবে। সাবরাং এলাকায় সমুদ্র সৈকতের তীরে ১১শ’ একরজুড়ে একটি জোন গড়ে তোলা হবে।


বাংলাদেশ সময়: ১৯০০ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৫, ২০১৬/আপডেট: ২০৫৪ ঘণ্টা
এসএ/এমজেএফ

** আখেরি স্টেশন দোহাজারী, কক্সবাজারে রেল কবে?

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

বছরজুড়ে দেশ ঘুরে এর সর্বশেষ