ঢাকা, বুধবার, ২৮ কার্তিক ১৪৩১, ১৩ নভেম্বর ২০২৪, ১১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বছরজুড়ে দেশ ঘুরে

প্রবাল পাথরের ভাঁজে ভাঁজে মাছের খেলা

শাহজাহান মোল্লা, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৫৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ৬, ২০১৬
প্রবাল পাথরের ভাঁজে ভাঁজে মাছের খেলা

সেন্টমার্টিন থেকে: বাংলাদেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিন। এই দ্বীপের সৌন্দর্যে অবগাহনে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ছুটে আসেন পর্যটকরা।

আসেন বিশ্বের নানা প্রান্তের বিদেশিরাও।

প্রবাল দ্বীপটির অন্যতম আকর্ষণ এর সমুদ্র সৈকতের বিভিন্ন পয়েন্টের প্রবাল পাথর। এই প্রবাল পাথরের ভাঁজে ভাঁজে বেড়াতে থাকা সামুদ্রিক মোহাবিষ্ট করে রাখে আরও।

বুধবার (৬ এপ্রিল) প্রবাল দ্বীপ এলাকা ঘুরে দেখা যায়, প্রবাল পাথরের ওপর নানা ভঙ্গিতে ছবি ক্যামেরাবন্দি করছেন পর্যটকরা। কেউ কেউ ছুটছেন মাছের পিছু পিছু।


প্রবাল দ্বীপের ভাঁজ ঘেষে মাছ শিকার করেন সেন্টমার্টিনের মৎস্যজীবীরা। এদের কেউ কেউ আবার গভীর সমুদ্রেও যান।

স্থানীয় মৎস্য শিকারীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সমুদ্রের গভীর পানিতে যেমন রয়েছে বিভিন্ন প্রজাতির সামুদ্রিক মাছ, তেমনি রয়েছে তীর ঘেঁষে প্রবাল পাথরের ভাঁজে ভাঁজেও।

প্রবাল দ্বীপের গলাচিপা এলাকায় মাছ ধরছিলেন মো. সোলায়মান ও তার ছোট ভাই। প্রবাল পাথরের ভাঁজে একটি বড়শি ফেলে সুতো ধরে দাঁড়িয়ে আছেন সোলায়মান। কী মাছ পাওয়া যাবে জিজ্ঞেস করতেই বলেন, আমি টুনা ফিস,  অনেক সময় কোরাল মাছও পাই। এক কেজি ওজনের টুনা ফিস বিক্রি হয় ৯০০ টাকা দরে। তবে ছোট (২০০ গ্রামের) টুনা ফিস ৫০ থেকে ৬০ টাকা কেজি দরের বিক্রি করি।

টুনা ফিস ধরার পদ্ধতি সম্পর্কে সোলায়মান জানান, বড়শির মাথায় একটু ময়দা লাগিয়ে প্রবাল পাথরের ভাঁজে থাকা পানি ফেললে মুহূর্তেই মাছ সেটি গিলতে চায়, ব্যস, আর কি।

এ কথা বলার দুই মিনিটের মাথায় একটি ২০০ গ্রাম ওজনের টুনা ফিস ধরা পড়ে সোলায়মানের বড়শিতে।

তবে এ মাছ শিকারীর সঙ্গে আলাপে জানা গেল, আবহাওয়ার পূর্বাভাস সম্পর্কে তাদের সঠিক ধারণা নেই। কেবল আকাশে মেঘ দেখেই আন্দাজ করেন ঝড়-বৃষ্টি হতে পারে। এই অনুমাননির্ভর সংকেতের কারণে অনেকেই গভীর সমুদ্রে যাওয়ার পর বিপদে পড়ে যান।
 
প্রবাল দ্বীপে দেখা হয় আরেক জেলে বেলাল হোসেনের সঙ্গে। তিনি বলেন, আমাদের মাছ ধরার প্রধান সমস্যা অনেক সময় আবহাওয়ার পূর্বাভাস বুঝতে পারি না। আমরা আকাশের অবস্থা দেখেই সমুদ্রে যাই, যদি পূর্বাভাস বুঝতে পারি, তবে নিজেকে নিরাপদ ভাবা ছাড়া মাছ ধরতে যাই না।
সমুদ্র থেকে মাছ দরেই রাস্তার ওপর অবস্থিত বাজারে মাছ বিক্রি করছেন মাহমুদুল্লাহ। তিনি বলেন, আমরা এখানে  সুন্দরী মাছ,  চাঁদা মাছ, কোরাল মাছ, বাগদা চিংড়ী ধরি। প্রতিদিন সকালে মাছ এনে এখানেই বিক্রি করি। পর্যটন মৌসুমে দিনের মাছ দিনেই শেষ হয়ে যায়। তবে যখন পর্যটক কম থাকে তখন মাছ বিক্রি কমে যায়। এই যেমন এখন মাছের চাহিদা খুবই কম।

 

বাংলাদেশ সময়: ২১২৯ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৬, ২০১৬
এসএম/এইচএ/

** সেন্টমার্টিনের বাহন ‘ভ্যানগাড়ি’

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

বছরজুড়ে দেশ ঘুরে এর সর্বশেষ