সেন্টমার্টিন, কক্সবাজার থেকে: সেন্টমার্টিন সমুদ্র সৈকত ধরে যেদিকে এগোনো যায় শুধু কেয়া আর নারকেল গাছের সারি। প্রবালের সঙ্গে এই কেয়া আর নারকেল গাছ সেন্টমার্টিনকে শুধু সবুজই করেনি, প্রাকৃতিক দুর্য়োগ থেকেও করছে সুরক্ষা।
জেটি থেকে সোজা দক্ষিণ দিকে সৈকত ধরে এগোলে চোখে পড়বে সারি সারি কেয়া আর নারকেল বাগান। কেয়া গাছগুলো একে অপরকে জড়াজড়ি করে ধরে বছরের পর টিকে থেকে সুরক্ষা দিয়ে আসছে সেন্টমার্টিনকে।
বঙ্গোপসাগরের সুবিশাল জলরাশি, দ্বীপজুড়ে প্রবাল, পাথরের ভাঁজে ভাঁজে সামুদ্রিক মাছের ছোটাছুটি দেখার পাশাপাশি দ্বীপটিকে সবুজময় করে তুলেছে এ কেয়া ও নারকেল গাছ। সব মিলিয়ে তারা দ্বীপটিকে করে তুলেছে অপরূপা।
নারিকেল জিঞ্জিরা দ্বীপ নামটি স্বার্থক। পর্যটন মৌসুমে পর্যটকদের ডাবের চাহিদা মেটায় এ গাছ।
কোস্টগার্ডের অফিস পার হয়ে মেরিন পার্কের স্থানটির নাম গলাচিপা দক্ষিণ পাড়া। সে গ্রামের সাব্বির আহমেদ বাংলানিউজকে বলেন, প্রাকৃতিক দুর্য়োগ থেকে রক্ষা পেতে প্রায় ১৫ বছর আগে এ গাছগুলো লাগানো হয়। সেন্টমার্টিনের চারদিক ঘুরিয়েই এ কেয়া গাছ লাগানো হয়। আর ভিতরে রয়েছে সারি সারি নারকেলের বাগান। প্রাকৃতিক দুর্য়োগ থেকে এ গাছই আমাদের রক্ষা করে।
মাহমুদ ফয়েজ জানান, প্রথমে গাছগুলো এক সারিতে লাগানো হয়। কিন্তু কেয়া গাছের বৈশিষ্ট্য হচ্ছে গাছগুলো একবার লেগে গেলে পরস্পরের সঙ্গে জড়াজড়ি করে নিবিড় এবং দুর্গম পরিবেশ তৈরি করে। এটি মাটিক্ষয় রোধ করে। দ্বীপের নারকেল গাছসহ অন্যান্য গাছ যখন ঝড়ে উপড়ে যায় তখন কেবল এ কেয়া গাছই একা প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে সেন্টমার্টিনকে রক্ষা করে।
আরেক বাসিন্দা রফিক আলম বলেন, দ্বীপ রক্ষাকারী এ গাছের জীবন এখন বিপন্ন। সৈকতের কোলঘেঁষে গড়ে ওঠা রিসোর্ট দৃশ্যমান করতে এ কেয়া গাছ নির্বিচারে কাটা হচ্ছে। এটি প্রতিহত করা না গেলে কেয়া গাছের সঙ্গে বিপন্ন হতে পারে সেন্টমার্টিনও।
বাংলাদেশ সময়: ২২৪৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৬, ২০১৬
এমআই/এসআর