ছেঁড়া দ্বীপ, সেন্টমার্টিন থেকে: ছেঁড়া দ্বীপ। বঙ্গোপসাগরে সেন্টমার্টিন দ্বীপের একটি বিন্দু যেনো।
বড় মেয়ের বিয়ে হয়েছে সেন্টমার্টিনে। তিনি সেখানেই থাকেন। বাকিরা আঁকড়ে আছেন হোসেন আলীর ‘দ্বীপ-ভিটা’।
পর্যটন মৌসুমে এখানে পর্যটকদের ভিড় লেগে যায়। যারা সেন্টমার্টিনে আসেন, তারা একটু ঘুরে আসতে চান স্বপ্নের ছেঁড়া দ্বীপ, দারুচিনি দ্বীপ।
এখানে আগত পর্যটকদের নামাজ পড়ার সুবিধার্থে হোসেন আলী তার বাড়ি থেকে ২০ গজ দূরে ১০০ বর্গফুটের একটি মসজিদ বানান। চারপাশে ৪টি অস্থায়ী পিলার দিয়ে মেঝে কোনো রকমে সেমিপাকা করা।
একসময় মসজিদের চাল ছিল টিনের। বেড়াও ছিল টিনের। মুসল্লিরা সেখানে নামাজও আদায় করতেন। এক ঘূর্ণিঝড়ে মসজিদের বেড়া-চাল সব উড়ে যায়। শুধু পড়ে থাকে ৪টি খুঁটি।
এরপর আর সংস্কার করা হয়নি। পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে আছে মসজিদটি। এখন আর সেখানে নামাজ আদায় হয় না।
হোসেন আলীর ছেলে গিয়াস উদ্দিন বাংলানিউজকে বলছিলেন, মসজিদটি সংস্কারের জন্য বিভিন্ন সময় এখানে আগত পর্যটকদের সহায়তা চেয়েছিলাম। কোনো সহায়তা পাইনি। বরং অনেকে অন্যভাবে নিয়েছে। আমার নিজের তেমন সামর্থ্য নেই মসজিদটি সংস্কার করার। তাই এভাবেই পড়ে আছে।
গিয়াস উদ্দিন আরও বলেন, আমার বাবা সে সময় ১০-১২ হাজার টাকা খরচ করে মসজিদটি তৈরি করেছিলেন। মসজিদের সামনে চৌবাচ্চা আকারের একটি পুকুর খনন করেছিলাম আমি। মুসল্লিরা যেন অজু করতে পারেন। পরিচর্যার অভাবে পুকুরটিও এখন শুকিয়ে গেছে।
হোসেন আলীর এ ছেলে বলেন, বাবা নেই। তার স্মৃতি ধরে রাখতে আমার নিজেরই মসজিদটি সংস্কার করার পরিকল্পনা আছে। হাতে একটু পয়সা হলেই মসজিদটি সংস্কার করবো।
বাংলাদেশ সময়: ১৬১৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৭, ২০১৬
এমআই/এইচএ
** সেন্টমার্টিনে বাজার সদাইয়ের সংগ্রাম
** সেন্টমার্টিন যেভাবে যাবেন