সেন্টমার্টিন থেকে: ‘বাবা! গোয়ার সঙ্গে দারুণ মিল যে,’ দেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপে মুগ্ধ হয়ে এভাবেই বলছিলেন সেন্টমার্টিন ঘুরতে আসা ভারতীয় পর্যটক মনোবীণা রায়।
সেন্টমার্টিনের সৌন্দর্যে মুগ্ধ মনোবীণার সঙ্গে স্বামীসহ এসেছেন শীলা গাঙ্গুলীও।
প্রবাল, স্বচ্ছ পানি আর সমুদ্রের গর্জন শুনে বিস্মিত হয়ে গোয়ার সঙ্গে তুলনা করলেও বেশি খুশি হতে পারেননি এই ভিনদেশি পর্যটকরা।
গোয়া ভারতের একটি রাজ্য। ঐতিহাসিক মারগাউ শহরে আজও পর্তুগিজ সংস্কৃতির প্রভাব দেখতে পাওয়া যায়। মোহনীয় সমুদ্র সৈকত, উপাসনালয় এবং বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থাপত্যগুলোর সৌন্দর্যে মুগ্ধ হন পর্যটকরা।
সৌন্দর্য দেখে গোয়ার সঙ্গে তুলনা করলেও সেন্টমার্টিনের আসার অভিজ্ঞতাটা একটু তিক্ত। সেই অভিজ্ঞতা বর্ণনা করে মনোবীণা রায় বলেন, এতো সুন্দর বিচ তোমাদের কিন্তু প্রচণ্ডভাবে অবহেলিত। বালুতে বসার কোনো ব্যবস্থা নেই। ‘ইন্ডিয়ার দীঘা কিংবা পুরিতে তুমি কখনও গিয়েছো? ওখানে কতো উন্নত করেছে ওরা। আর বাংলাদেশ পুরো প্রাকৃতিক একটা সম্পদ পেয়েছে বটে, অবকাঠামো বাড়ায়নি। আর বেনাপোল থেকে ঢাকা আর ঢাকা থেকে কক্সাবাজার আসার পথে দেখলাম এতো দিঘি-নালা, জলাশয়, এসব তো ভারতে নেই,’ বলছিলেন তিনি।
মনোবীণা বলেন, হাইওয়েটা বেশ সরু বাংলাদেশের। হাইওয়েতে দু’টো গাড়ি ক্রস করতে সাবধান হতে হচ্ছে।
৩ এপ্রিল বেনাপোল দিয়ে ঢাকা হয়ে কক্সাবাজার এসেছেন মনোবীণা দম্পতি ও শীলা গাঙ্গুলী দম্পতি।
মনোবীণার স্বামী ইন্ডিয়ান ওভারসিজ ব্যাংকে চাকরি করেন। পরিবেশবান্ধব পর্যটনে বেশ আকৃষ্ট তারা। বলেন, এতো সুন্দর সেন্টমার্টিন একঘণ্টা হেঁটে দেখেছি, এক হাজারের বেশি ময়লা আবর্জনার স্তূপ পেয়েছি।
‘একবার দেখে গেলাম আবার আসতে হবে,’ বলেন শীলা গাঙ্গুলী। মনোবীণা বলেন, এখন চিনে গেলাম আবার এলে সোজা সেন্টমার্টিন এসে থাকবো দু’তিনদিন।
‘এখানে শুধু দিনের কিছু প্রহর দেখলাম রাতটা যে কতো সুন্দর হতে পারে, সেটাতো মিস করে গেলাম গো,’ বলেন ভারতীয় এই পর্যটকরা।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৭, ২০১৬
এসএ/এমএ
** নতুন পরিকল্পনায় সাজছে কক্সবাজার
** উত্তাল সাগর, উপচে পড়া রূপ
** সৈকতের প্রহরী, সাগরের যোদ্ধা
** খেলায়-হেলায় সমুদ্র সৈকতকে আঘাত
** সেন্টমার্টিনের বাহন ‘ভ্যানগাড়ি’
** সেন্টমার্টিন হারিয়ে যাবে!
** ছেঁড়া দ্বীপের মৌসুমী!
** সেন্টমার্টিন যেভাবে যাবেন
** তৃতীয় ধাপে চট্টগ্রাম টিম এখন কক্সবাজারে
** কক্সবাজারে বাংলানিউজের দ্বিতীয় টিম
** বছরজুড়ে দেশ ঘুরে: কক্সবাজারে বাংলানিউজ