সেন্টমার্টিন (কক্সবাজার) থেকে: এমনিতেই মূলভূখণ্ড থেকে একটু বিচ্ছিন্ন দেশের সবচাইতে দক্ষিণের দ্বীপ/স্থল সেন্টমার্টিন। এখানকার মানুষের ভাষাতেও রয়েছে একটু ভিন্নতা, তবে চট্টগ্রামের আঞ্চলিক ভাষার সঙ্গে কিছুটা মিল পাওয়া যায়।
বাংলাদেশের মানচিত্রের একবারে নিচের এই পর্যটন নগরী ঘিরে দেশি-বিদেশি পর্যটকদের পদচারণ অনেক বেশি। সাগরের নীল ঢেউ প্রবাল পাথরের সাথে খেলা করার দৃশ্য এবং সূর্য উদয় এবং অস্ত যাওয়ার চিত্র দেখতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশসহ বাংলাদেশের নানান জেলার মানুষজন এখানে আসেন।
কিন্তু এখানকার সাইনবোর্ড-ব্যানারে-স্টলে লেখা পড়লে মনে হবে বাংলা ভাষাই যেন তাদের কাছে অজানা! প্রবালদ্বীপের বিভিন্ন ঝোঁপের পাশে এবং দোকানে যেভাবে লেখা রয়েছে তা পড়লেই অনুমান হয় এখানকার মানুষের ভাষাজ্ঞান ও লেখা-পড়ার মান। কম বেশি সেন্টমার্টিনের এই দ্বীপ ঘুরে বিভিন্ন সাইনবোর্ড থেকে চোখে পড়ে বেশ কিছু লেখা। তারই কয়েকটি নমুনা তুলে ধরার প্রচেষ্টা- প্রবাল দ্বীপের পাশ দিয়ে হাঁটলেই চোখে পড়বে একটি গোরস্তানের সাইনবোর্ড। এখানে সাদা রংয়ের বোর্ড লাল হরফে লেখা আছে ‘কবর স্থান পবিত্রা রক্ষা করুন’।
একই পাশ দিয়ে আরও কিছু দূর হাঁটলেই চোখে পরবে আরও একটি সাইনবোর্ড যেখানে লেখা আছে ‘প্রবালদ্বী পসেন্টমার্টিন এস্বাগতম সম্মানিত পর্যটক ভাই বোন দের জন্য রয়ে ছে মিষ্টি পানি দিয়ে গোসল করা হয়, কাপড় পরি ধান করা হয় টয়লেটের সূ, ব্যবস্থা আছে এবং দেশী, মুরগী পাওয়া যায় কাবার সূ, ব্যবস্থা আছে’।
প্রবাল দ্বীপ থেকে ছেঁড়া দ্বীপে গেলে চোখে পড়বে আরও একটি আকর্ষণীয় সাইনবোর্ড যেখানে লেখা আছে ‘ছেরা দ্বীপের একটি পরিবার মো: হোসেন আলী হোটেল মৌসুমী. সকালের বেরেক পাছ তেকে নাটের BAR-Q হয়’। আসলে হবে সকালে ব্রেকফাস্ট থেকে রাতের বারবিকিউ হয়’।
এই প্রবাল দ্বীপে দেশি পর্যটকদের পাশাপাশি বিদেশি পর্যটকও কম আসেন না। ভাগ্যিস বিদেশিরা বাংলা পড়তে পারেন না, তা না হলে ভাষা নিয়ে কতই না অপমানিত হতে হতো!
এর এটা হবেই বা না কেন, এই দ্বীপে আধুনিক শিক্ষার আলো এখনো সেভাবে পৌঁছায়নি। এখানকার অধিবাসীদের মধ্যে বেশির ভাগই মাদ্রাসা শিক্ষার দিকে আগ্রহ। তাছাড়া বিদ্যালয় সেভাবে গড়ে ওঠেনি।
বাংলাদেশ সময়: ০৭৩৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৮, ২০১৬
এসএম/আইএ
** সেন্টমার্টিন যেভাবে যাবেন
** এই ৮ বর্গকিমিই এনেছে ৪ হাজার বর্গকিমি সমুদ্র
** সমুদ্র আর সৈকতই ভরসা পর্যটন নগরীর
** দূর থেকে ভাসমান, কাছে গেলেই দৃশ্যমান ছেঁড়া দ্বীপ
**সৈকতের আল্পনাশিল্পীদের করুণ মৃত্যুগাথা
** রানওয়েতে কুকুর, বড় দুর্ঘটনার শঙ্কা
** ‘বাবা, গোয়া সৈকতের সঙ্গে যে দারুণ মিল’
** সূর্য ডোবে সাগরে
** নোনা দ্বীপে মিষ্টি পানি
** ছেঁড়া দ্বীপের মৌসুমী!
** পরিত্যক্ত অবস্থায় ছেঁড়া দ্বীপের একমাত্র মসজিদ
** সেন্টমার্টিনে বাজার সদাইয়ের সংগ্রাম (ভিডিওসহ)
** কক্সবাজারে বাংলানিউজের দ্বিতীয় টিম
** ১৮ কোটি টাকার মেরিন পার্ক ১০ বছরেই ‘মৃত’
** সেন্টমার্টিনে সৈকত জুড়ে কাঁকড়ার আল্পনা
** পঁচা মাছে নষ্ট হচ্ছে সেন্টমার্টিনের সৌন্দর্য
** সেন্টমার্টিন হারিয়ে যাবে!
** ডাব-তরমুজেই পকেট ফাঁকা সেন্টমার্টিনে
** আতঙ্ক আর আনন্দ একযোগে ভর করলো সাগরে
** কেয়া আর নারকেল গাছ সেন্টমার্টিনকে করেছে অপরূপা
** প্রবাল পাথরের ভাঁজে ভাঁজে মাছের খেলা
** সেন্টমার্টিনের বাহন ‘ভ্যানগাড়ি’
** বয়া ছাড়াই জাহাজ চলছে টেকনাফ-সেন্টমার্টিনে
** ‘লাইফ লাইনে গণ্ডগোল’
** খেলায়-হেলায় সমুদ্র সৈকতকে আঘাত
** বাংলানিউজ, ওয়েলকাম টু কক্সবাজার
** কেয়ারি সিন্দবাদে দোল খেতে খেতে সেন্টমার্টিন
** ১২ মাস কক্সবাজারকে ব্যস্ত রাখতে চায় মারমেইড
** তৈরি হচ্ছে ‘বিচ ডাটাবেজ’
** ড্যান্সিং বাসে কক্সবাজার টু টেকনাফ
** ‘পর্যটন মৌসুম শব্দটি বিলীন হয়ে যাচ্ছে’
** তথ্যহীন পর্যটন তথ্য কেন্দ্র!
** ঘোড়া চলে ঘুষ দিয়ে !
** সৈকতের প্রহরী, সাগরের যোদ্ধা
** হাওয়া অফিস খাঁ খাঁ, ঐতিহ্যের শরীরে টাইলস আগ্রাসন
** লাবনী-সুগন্ধা নয়, পুরো সৈকতে উপযোগী পরিবেশ দরকার
** বয়সটা কম, তবুও কাঁধটা ‘বড়’ তাদের..
** প্রশাসনের ছত্রছায়ায় চলছে ঝুঁকিপূর্ণ ‘জেট স্কি’
** অব্যবস্থাপনায় সৌন্দর্য হারাচ্ছে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত
** উত্তাল সাগর, উপচে পড়া রূপ
** কক্সবাজার-সেন্টমার্টিন-সুন্দরবন ঘিরে নানা পরিকল্পনা
** নতুন পরিকল্পনায় সাজছে কক্সবাজার
** আখেরি স্টেশন দোহাজারী, কক্সবাজারে রেল কবে?
** মেঘের সাগরে আয়েসি উড়াল
** বছরজুড়ে দেশ ঘুরে: কক্সবাজারে বাংলানিউজ