সেন্টমার্টিন থেকে: আইফেল টাওয়ার দেখে যেমনি বোঝা যায় প্যারিস, স্ট্যাচু অব লিবার্টি দেখে নিউইয়র্ক কিংবা অপেরা হাউস দেখে সিডনি।
কিন্তু তেমনি বঙ্গোপসাগরের বুক জেগে উঠা ছোট-বড় অনেক দ্বীপের মাঝে ছেঁড়া দ্বীপকে আলাদা করে চিনবেন কীভাবে?
সেন্টমার্টিনের জাহাজঘাটের জেটি থেকে দুটি দ্বীপ দেখা যায়।
দূর থেকে নেওয়া এসব দ্বীপের ছবি দেখে সহজে বোঝার উপায় নেই কোনটি কোন দ্বীপ। কিন্তু ছেঁড়া দ্বীপের ছবি থেকে একনজরে বুঝে নেওয়া যায় এটি ছেঁড়া দ্বীপ।
ইঞ্জিনচালিত নৌকায় ৪৫ মিনিটেই সেন্টমার্টিন থেকে ছেঁড়া দ্বীপে যাওয়া যায়। কাছাকাছি পৌঁছলে মনে হবে এটি কোনো মায়াদ্বীপ। ছেঁড়া দ্বীপের চারপাশের সৈকত কালো প্রবালে ভরা। আর তাতে অবিরাম আছে পড়ছে সাদা ফেনাযুক্ত সাগরের ঢেউ। প্রবাল পাথরের ভাঁজে ভাঁজে স্বচ্ছ পানির নিচে মাছেদের খেলা আর বাহারি শামুক-ঝিনুকের আনাগোনা।
যারা ছেঁড়া দ্বীপ ভ্রমণ করেছেন তারা শত দ্বীপের মধ্যে শুধু ছবি দেখেই বলে দিতে পারেন এটি ছেঁড়া দ্বীপ। হ্যাঁ, ছেঁড়া দ্বীপের একমাত্র ঝাউগাছের কথা বলছি। যেটি আইফেল টাওয়ারের মতো ছেঁড়া দ্বীপের আইকন হিসেবে বঙ্গোপসাগরের বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে।
ঝাউ গাছটি সম্পর্কে জানালেন দ্বীপটির একমাত্র পরিবারের কর্তা গিয়াস উদ্দিন। তিনি জানালেন প্রায় ১৫ বছর আগে তিনি স্বহস্তে গাছটি রোপণ করেন।
কেয়া আর বুনো কটি গাছ ছাড়া ছেঁড়া দ্বীপে আর কোনো গাছ নেই। নেই কোনো নারকেল গাছও। গিয়াস উদ্দিনের রোপণ করা ঝাউ গাছটিই কালক্রমে বড় হয়ে আর অন্যসব গাছ ছাপিয়ে দ্বীপের আইকন হিসেবে এখন সগর্বে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে।
বাংলাদেশ সময়: ০৮৩১ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৭, ২০১৬
এমআই/এসআর
** অব্যবস্থাপনায় সৌন্দর্য হারাচ্ছে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত
** কেয়ারি সিন্দবাদে দোল খেতে খেতে সেন্টমার্টিন
** কেয়া আর নারকেল গাছ সেন্টমার্টিনকে করেছে অপরূপা
** পরিত্যক্ত অবস্থায় ছেঁড়া দ্বীপের একমাত্র মসজিদ
** সেন্টমার্টিন যেভাবে যাবেন
** তৃতীয় ধাপে চট্টগ্রাম টিম এখন কক্সবাজারে
** কক্সবাজারে বাংলানিউজের দ্বিতীয় টিম
** বছরজুড়ে দেশ ঘুরে: কক্সবাজারে বাংলানিউজ