কক্সবাজার থেকে: দৈর্ঘ্য প্রায় আড়াই ফুট, চওড়ায় দেড় বিঘত। পুরো শরীর স্বচ্ছ পলিথিনে মোড়া।
পর্যটন নগরী কক্সবাজারের প্রখ্যাত বার্মিজ মার্কেটের একটি দোকানের সামনে ঝুলিয়ে রাখা কাইকল্যা মাছের শুটকির গায়ে এমনইটাই লেখা ছিল।
লেখাটি দেখে কৌতূহল হওয়ায় দোকানির কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, পর্যটকদের অনেকেই দোকানে এসে ঝুলিয়ে রাখা বড় বড় মাছের শুটকিগুলো টিপে ও নেড়ে-চেড়ে দেখেন, দরদাম করে চলে যান; কেনেন না। এতে আমাদের সময় নষ্ট হয়। অহেতুক প্রশ্নের ঝক্কি এড়াতে তাই এ কথা লিখে রাখা হয়েছে।
দোকানি আরও বলেন, বছরের নভেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি ও মার্চের মাঝামাঝি পর্যন্ত পর্যটকদের পদচারণায় মুখর থাকে কক্সবাজার। কিন্তু আমাদের দোকানটি মূল শুটকি বাজারে না হওয়ায় বিক্রিবাট্টা কিছুটা কম। তার ওপর এ মৌসুমে বেশিরভাগ সময় আবহাওয়া খারাপ থাকায় বিক্রি তেমন হয় না বললেই চলে।
দোকানের চারপাশে নজর বুলিয়ে দেখা গেলো আশপাশে পোশাক ও অন্যান্য পণ্যের দোকান। এর মধ্যে অনেকটাই বেমানান ক্রেতাশূন্য এ শুটকির দোকানটি। এখানে রয়েছে কাইকল্যা, রূপচাঁদা, চিংড়ি, লইট্যা, চ্যাপা, ছুরি, চাপিলা, সুরমাসহ বিভিন্ন মাছের শুটকি। এর মধ্যে কাইকল্যার মতো বড় মাছের শুটকির কেজি দুই থেকে চার/পাঁচশ পর্যন্ত। ফলে তিন/চার কেজি ওজনের একেকটি শুটকি দেখতে এলেও অনেকেই কিনতে পারেন না।
দোকানি আরও জানান, দোকানে আসা অনেকেই এমনিতেই দরদাম নিয়ে প্রশ্ন করেন, যা সত্যিই বিরক্তির। তাই শুটকির প্যাকেটের গায়ে লিখে রাখা হয়েছে ‘টিপলে ২০০, কিনলে ডিসকাউন্ট’
বাংলাদেশ সময়: ১০৩৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৮, ২০১৬
এসআই/এসআর
** সেন্টমার্টিন যেভাবে যাবেন
** তৃতীয় ধাপে চট্টগ্রাম টিম এখন কক্সবাজারে
** কক্সবাজারে বাংলানিউজের দ্বিতীয় টিম
** বছরজুড়ে দেশ ঘুরে: কক্সবাজারে বাংলানিউজ