কক্সবাজার থেকে: তীরে দাঁড়িয়ে সমুদ্র দেখার সুখটাই আলাদা। ১২০ কিলোমিটারের বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত সরাসরি তীর থেকে দেখতে নির্মিত হচ্ছে মেরিন ড্রাইভ রোড।
সমুদ্র তীর রক্ষায় সেনাবাহিনীর তৈরি করা হাজার হাজার টেট্রাপড পর্যটকদের স্বস্তিতে সমুদ্র দেখার সুযোগ করে দেয়।
এখন ইনানী থেকে বাকি ৩২ কিলোমটার সড়ক একই ভাবে টেট্রাপড দিয়ে নির্মাণ চলছে।
সেনাবানিহীর মেরিন ড্রাইভ প্রকল্প কর্মকর্তারা জানান, কংক্রিটের তৈরি চার কাটা বিশিষ্ট চতুষ্কোণা আকৃতির বিশেষ ধরনের ‘টেট্রাপড এ পিলার সমুদ্রের বিশাল তরঙ্গমালাকে নিমিষে শক্তিহীন করে ‘ডেড ওয়াটার’-এ পরিণত করে দেবে। এতে সুরক্ষা পাবে নদী ও সমুদ্র তীর এবং এর স্থাপনাগুলো। ফলে তীর থেকে খুব সহজে পর্যটক ঢেউমালা দেখতে পারবেন।
কক্সবাজার থেকে হিমছড়ি হয়ে ইনানী সমুদ্র সৈকত ঘুরে দেখা গেছে, মেরিন ড্রাইভ সড়কের কিছুক্ষণ পর পর এ টেট্রাপড পদ্ধতি ব্যবহার করে সমুদ্রতীর রক্ষা করছেন তারা।
মেরিন ড্রাইভ প্রকল্পের কর্মকর্তা মেজর নাহিদ বাংলানিউজকে বলেন, টেট্রাপড-এর চারটি পা থাকবে যার তিনটি থাকবে মাটিতে অপরটি উপরের দিকে থাকবে।
এর আগে জি-টিউভ পদ্ধতিতে সমুদ্র উপকূল রক্ষায় বাঁধ দেওয়া হতো। যা দীর্ঘস্থায়ী ছিলো না এবং কাঁকড়ার কামড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পড়তো-জানান মেজর নাহিদ।
২০১৭ সালের জুনে মেরিন ড্রাইভ নির্মাণ কাজ শেষ হবে টেট্রাপড পাশে দাঁড়িয়ে তীর থেকে সমুদ্রের উর্মিমালা উপভোগ করছেন পর্যটকরা।
প্রকল্প কর্মকর্তারা জানান, স্পেন, জাপান এবং কানাডায় এটি ব্যবহৃত হচ্ছে। ভারতের তাজ হোটেলের সামনেও একই সাদৃশ্যের পদ্ধতির ব্যবহার করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১১৩৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ১০ , ২০১৬
এসএ/এসএইচ
** নো নিড টু গো অ্যাবরোড
** সাগর তীরে, পাহাড়ের ধারে স্বপ্নের মেরিন ড্রাইভ
**বিশ্বসেরা সার্ফিং ভিলেজ কক্সবাজার
**সম্ভাবনার ‘হিমছড়ি পিক’ অবহেলিত
** শিশুদের জন্য সেন্টমার্টিন নয়!
**‘বাবা, গোয়া সৈকতের সঙ্গে যে দারুণ মিল’
** নতুন পরিকল্পনায় সাজছে কক্সবাজার
** উত্তাল সাগর, উপচে পড়া রূপ
** সৈকতের প্রহরী, সাগরের যোদ্ধা
** খেলায়-হেলায় সমুদ্র সৈকতকে আঘাত
** সেন্টমার্টিনের বাহন ‘ভ্যানগাড়ি’
** সেন্টমার্টিন হারিয়ে যাবে!
** ছেঁড়া দ্বীপের মৌসুমী!
** সেন্টমার্টিন যেভাবে যাবেন
** তৃতীয় ধাপে চট্টগ্রাম টিম এখন কক্সবাজারে
** কক্সবাজারে বাংলানিউজের দ্বিতীয় টিম
** বছরজুড়ে দেশ ঘুরে: কক্সবাজারে বাংলানিউজ