ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৯ কার্তিক ১৪৩১, ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ১২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বছরজুড়ে দেশ ঘুরে

ব্রিজের সঙ্গে পর্যটন ডুবেছে কাপ্তাই লেকে

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮৫১ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৬, ২০১৬
ব্রিজের সঙ্গে পর্যটন ডুবেছে কাপ্তাই লেকে ছবি- আসিফ আজিজ/বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঝুলন্ত ব্রিজ (রাঙামাটি) ঘুরে: তিন ফুট পানির নিচে ডুবে রয়েছে ‘ঝুলন্ত ব্রিজ’। গত সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি সময়ের পর থেকে ব্রিজের পাটাতনে পা মাড়াতে পারেন নি কোনো পর্যটক।

মূলত ‘ভুল নকশায়’ এ ‘মাশুল’ গুনতে হচ্ছে ‘সিম্বল অব রাঙামাটি’কে।

বর্ষাকালে কাপ্তাই লেকের পানির সরোচ্চ উচ্চতা হিসেব করে ঝুলন্ত ব্রিজের নকশা করা হলেও নির্মাণের সময় তা নির্ধারিত উচ্চতার চেয়ে নিচু বানানো হয়। ফলে গত কয়েক বছর ধরেই এ সময়টায় পর্যটক হারাচ্ছে ব্রিজটি।
 
জানা যায়, পর্যটকদের বিনোদনের জন্য ১৯৮৪ সালে ১০৫ ফুট উচ্চতায় তৈরি করা হয় ঝুলন্ত ব্রিজ। অর্থ্যাৎ পানির উচ্চতা এর বেশি হলে ব্রিজের পাটাতন ডুববে, যা গত মাসখানেক সময় ধরে ব্রিজটির চিত্র।

ব্রিজ ঘুরে দেখা যায়, এর রেলিং পর্যন্ত পানির লেভেল (শনিবার, ১৫ অক্টোবর) উঠে যাওয়ায় প্রবেশ মুখ বন্ধ করে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। প্রতিবন্ধকতা হিসেবে দেওয়া রয়েছে বাঁশ, লাল নিশানা।  


 
ব্রিজটি বন্ধ থাকায় না জেনে পরিদর্শনে এসে অনেকে হতাশ হয়ে ফিরে যাচ্ছেন। অনেকে আবার গত কয়েক বছরের ‘বন্ধ’ থাকার অভিজ্ঞতায় কাপ্তাই লেকের পানির হিমশীতল বাতাসে গা জুড়াতে আসছেন।  
 
সন্তান নিয়ে আসা বাবার কাছে এক শিশুর অভিব্যক্তি, এটিই কি ঝুলন্ত ব্রিজ। উত্তরে হতাশ শিশুটিকে বাবা আশ্বস্ত করলেন, আমরা স্পিডবোটে করে ঘুরবো।


 
এদিকে, ঝুলন্ত ব্রিজ কেন্দ্রিক ওই এলাকার ব্যবসা-বাণিজ্য ‘লাটে’ ওঠার অবস্থা। সবার চোখে-মুখে হতাশার ছাপ। অনেকের দোকান গুটিয়ে অন্যত্র চলে যাওয়ার চিত্রও পাওয়া গেলো। আবার কোনো একজন পর্যটক দেখলেই নিজের দোকানের পণ্য নামমাত্র মুনাফায় বিক্রি করে দেওয়ার সব চেষ্টাই করছেন।

 
ব্রিজের ওপারে পার্ক-এ আচার ও নারীদের ব্যবহার্য বিভিন্ন ধরনের ব্যাগ সাজিয়ে বসেছেন প্রায় ২০ জন বিক্রেতা। মিতু ত্রিপুরা বলেন, ব্রিজে পানি থাকায় বিক্রি খুবই মন্দা। আগে দিনে ৫-৬শ’ টাকা মুনাফা থাকলেও এখন এ পরিমাণ বিক্রিও হয়না।

এ সময় অন্য বিক্রেতারা একনাগারে বলতে লাগলেন, গত মাসের ২০ তারিখ থেকে আমাদের মন্দা যাচ্ছে। পানি যে কখন নামবে, যেনো সে আশ্বাস শুনতে প্রহর গুনছেন সবাই।
 
ঝুলন্ত ব্রিজ বন্ধ থাকায় ওপারে পার্ক-এ যেতে ২০ টাকা আসা-যাওয়ায় সবাই ব্যবহার করছেন ইঞ্জিনচালিত বোট। তবে এ বোট পাড়ে ভিড়তে ঝুলন্ত ব্রিজের তারে আঘাত করছে প্রতিনিয়ত। যার ফলে ব্রিজের তারের নীল রং চটে শরীরে ‘ক্ষত’ সৃষ্টি হয়েছে।

** ‘রিছাংবান্ধব’ নন পর্যটকরা!
** রিছাং রোমাঞ্চ!
** মেঘের ভেলায় ভেসে মেঘ-পাহাড়ের দেশে
** ঝালেই পাহাড়িদের পছন্দ ‘সুমরিচ’

 
বাংলাদেশ সময়: ০৮৩২ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৫, ২০১৬
জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

বছরজুড়ে দেশ ঘুরে এর সর্বশেষ