ঝিরিঝিরি ঝরনা (রাঙ্গামাটি) ঘুরে: কেউ বলেন ঝিরিঝিরি ঝরনা, কেউ বলেন ছোট ঝরনা। যে নামেই ডাকা হোক না কেন রাঙ্গামাটি জেলার বরকল উপজেলায় অবস্থিত অদ্ভূত সুন্দর এ ঝরনায় অবগাহন করে প্রাণ জুড়াতে পারেন আপনিও।
রাঙ্গামাটি থেকে ইঞ্জিনচালিত নৌকা কিংবা স্পিডবোটে সুবলং ঝরনায় যাওয়ার আগেই এ ঝরনার অবস্থান। এক খরচেই দু’টি ঝরনা ঘুরে আসতে পারেন। রাঙ্গামাটির রিজার্ভ বাজার ঘাট থেকে ইঞ্জিনচালিত নৌকায় ঝিরিঝিরি ঝরনায় যেতে সময় লাগে ৪৫ থেকে ৫০ মিনিট। সরাসরি সুবলং ঝরনা যেতে সময় লাগে এক ঘণ্টা ১৫ মিনিট।
ঢাকা থেকে রাঙ্গামাটি বেড়াতে আসা কৃষি ব্যাংকের কর্মকর্তা মশিউর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, সুবলং ঝরনায় গোসল করা যায় না। এর জলপ্রপাত ক্ষীণ আর কাছাকাছি তাই যাওয়া যায় না। কিন্তু ঝিরিঝিরি ঝরনার জলপ্রপাতে গোসল করে প্রাণ জুড়িয়ে গেলো। এর জলধারা সুবলং এর চেয়ের বেশি।
তিনি আরো জানান, পর্যটকরা বেশি এখনও তেমন আসে না। নৌকার মাঝির মুখে কথা শুনে তারা এখানে এসেছেন। এখানে না এলে মিস করতাম। অনেক সুন্দর ঝরনা এটি।
নৌকার মাঝি ইব্রাহিম জানালেন, সুবলং ঝরনার কাছাকাছি আরো তিনটি ঝরনা আছে। প্রচার আর সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা না থাকায় পর্যটক সেগুলো দেখতে পান না। এ তিনটি ঝরনার মধ্যে ঝিরিঝিরি ঝরনা খুব সুন্দর।
তিনি আরো বলেন, ঝরনাটির আশ-পাশের কিছু্ এলাকা সংস্কার দরকার। সামনে অংশের কিছু গাছের ডালপালা কেটে দিয়ে জলপ্রপাতের পানি পড়ার স্থানটি পরিষ্কার রাখলে এটিও হতে পারে একটি অন্যতম দর্শনীয় স্থান।
সরেজমিন ঝরনাটি পরিদর্শন করে দেখা যায়, এর সামনের অংশ কচুরিপানায় পরিপূর্ণ হয়ে আছে। পর্যটকদের ফেলে দেওয়া বর্জ্য যেমন বিভিন্ন কোমলপানীয়, এনার্জি ড্রিংকস, ফলের জুস, পানির বোতল, চিপসের প্যাকেট লেকের পানিতে ভেসে ঝরনার সামনে জমা হয়েছে। পাহাড়ি বুনো গাছের ডাল ঝরনার সামনে ঝুলে পড়ে এর সৌন্দর্য প্রকাশে বাধা সৃষ্টি করছে।
ঝরনাটি সংস্কার করলে রাঙ্গামাটি পর্যটনে নতুন মাত্রা এনে দেবে বলে মনে করেন পর্যটকরা।
**সর্পিল পথের বাঁকে বাঁকে ভয়ঙ্কর সৌন্দর্য
** নয়নাভিরাম খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদ পার্ক
বাংলাদেশ সময়: ০৯৫৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৬, ২০১৬
এমআই/এএটি/