রাঙামাটি থেকে: ‘ও সখিনা গ্যাছছ কি-না ভুইল্যা আমারে...’, কিংবা ‘রিকশা কেন আস্তে চলে না...’ এসব তুমুল জনপ্রিয় গান পার্বত্য জেলা রাঙামাটি শহরেও সমান জনপ্রিয়।
তবে রিকশার গানে মন মজলেও রিকশার চড়ার মজা কেমন তা জানেন না রাঙামাটি শহরবাসী।
জানার কোনো সুযোগও নেই তাদের! কেননা দেশের আর সবখানে রিকশা সবচেয়ে চেনা বাহন হলেও রাঙামাটিতে রিকশা নেই।
রোববার (১৬ অক্টোবর) সকালে আরেক পার্বত্য জেলা খাগড়াছড়ি থেকে রাঙামাটি শহরে পা দিতেই রিকশাবিহীন শহরে এলাম ভেবে মনে শিহরণ জাগলো।
তবে মনে ক্ষীণ আশা ছিলো, অন্তত খেয়ালী কেউ কেউ হয়তো রিকশা চালান। কিন্তু শহরের রিজার্ভ বাজার থেকে শুরু করে বনরূপা, আসাম বস্তি এলাকা, কোর্ট বিল্ডিং এবং কলেজ গেট এলাকা ঘুরেও দেখা মেলেনি রিকশার।
কেমন লাগে রিকশাবিহীন শহরে? আশা ছিলো এ প্রশ্নে ধাক্কা খাবেন রাঙামাটির স্থায়ী বাসিন্দারা, কিন্তু উল্টো বিষম খেতে হলো নিজেকেই।
আদি জাপানি বাহন রিকশার সঙ্গে যাদের জানাশোনা নেই, তাদের কাছে সে রিকশার গুরুত্ব বা অভাববোধ মূল্যহীন।
কেন রিকশা নেই বা বাইরে কোথাও গেলে রিকশায় চড়তে মন চায় কি-না এমন প্রশ্নের জবাবে কোর্ট বিল্ডিং এলাকার মায়ের দোয়া নার্সারির কর্মচারী আরিফ জানান, তার বাড়ি চাঁদপুর। কয়েক বছর ধরে এ শহরে আছেন, কখনোই রিকশা দেখেননি। এখন এটা তার কাছে সাধারণ ব্যাপার।
ওই দোকানে ফুল কিনতে আসা স্থানীয় যুবক আমিন জানান, রাঙামাটি শহর হ্রদ বেষ্টিত, শহরের বাইরে পাহাড়ি এলাকা, ফলে এ শহরে রিকশা নেই। এটা তাদের জেলার ঐতিহ্য।
শহরে অটোরিকশা চালানো ইবরাহিম জানান, অটোরিকশা করেই শহরের ভেতরে, বাইরে ও বিভিন্ন পর্যটন স্পটে যাওয়া যায়। যেকোনো দূরত্বে ভাড়াও সাশ্রয়ী। ফলে তারা চান না রিকশা কখনো এ শহরে আসুক।
তার কথায় সায় দিলেন ডিসি অফিসের সামনে জমায়েত আরো কয়েক ব্যক্তি। তাদের মত, 'রিকশাহীন রাঙামাটি' রাঙামাটির ব্যতিক্রম ঐতিহ্য। এ ঐতিহ্য অটুট থাকুক।
** খাগড়াছড়ির প্রবারণা উৎসবে…
** 'জিরাফ গলার' ঝুলন্ত সেতুর আকর্ষণও কম নয়
** রেল স্টেশনে বিনামূল্যে বিশুদ্ধ পানি
** রাবার ড্যামে চেঙ্গী নদীপাড়ের কৃষকদের সুদিন
বাংলাদেশ সময়: ১৯১০ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৫, ২০১৬
এসআর/এটি