লংগদু (রাঙামাটি) ঘুরে: সেসময় উপমহাদেশে ব্রিটিশ শাসন চলছিলো। ব্রিটিশরা বিভিন্ন অঞ্চলে রাজত্ব কায়েমে অভিযান চালাচ্ছিলো।
লুসাই অঞ্চলের বাসিন্দারা মাথাকে শিরা হিসেবে চেনেন। সে হিসেবে ওই ৩ জনকে মাথায় গুলি করে যে জায়গাটায় হত্যা করা হয় তাকে ৩ শিরার টিলা বলে ডাকতে থাকেন। কালের পরিক্রমায় ওই জায়গাটা পরিচিত হতে থাকে ৩ টিলা বলে।
রাঙমাটির লংগদু উপজেলার ৩ টিলার নামকরণের গল্প এটি। গল্পটি শোনাচ্ছিলেন স্থানীয় বাসিন্দা পঁচাত্তরোর্ধ্ব সোনারাম চাকমা।
তিনি জানান, ১৯৭০ সালে বনভান্তে এই তিন টিলায় গড়ে তোলেন বৌদ্ধ মন্দির। সেটিই এখন পরিচিত তিন টিলা বন বিহার নামে।
লংগদু লঞ্চঘাট হতে ৫ মিনিটের হাঁটা পথেই দেখা যায় তিন টিলা বৌদ্ধ মন্দির।
৪৬ বছর পুরনো এই বৌদ্ধ মন্দিরটি দেখতে এখন দূর-দূরান্তের পর্যটকরা আসছেন। উপলক্ষ-উৎসবে এখানে জনসমাগম হয় বেশ।
স্থানীয়দের সঙ্গে আলাপে জানা যায়, আশপাশের সবাই এটাকে তিন টিলা পাহাড় হিসেবেই জানেন। এমনকি আশাপাশের দোকান, স্কুল, কলেজ সর্বত্রই এটি এখন তিন টিলা বনবিহার হিসেবে পরিচিত।
বৌদ্ধ মন্দিরের ভেতরে গৌতম বুদ্ধের নানা রূপের মূর্তি রাখা হয়েছে। সাইনবোর্ডে বুদ্ধাব্দের হিসাবও তুলে ধরা হয়েছে।
বুদ্ধাব্দের হিসাব অনুযায়ী বুদ্ধের সদ্বর্ম্ম শাসন পাঁচ হাজার বছর। বর্তমানে চলছে ২৫৬০ বছর। এখনও ২৪৪০ বছর অবশিষ্ট।
লংগদু উপজেলায় আরও রয়েছে দুলুছড়ি জেতবন বিহার ও ১১৬ বছরের বনস্মৃতি রেস্ট হাউজ। পর্যটকদের আনাগোনা বাড়ছে এই দু’টি স্থাপনায়ও।
কীভাবে যাবেন লংগদুতে
লংগদু যেতে চাইলে রাঙামাটি শহরের রিজার্ভ বাজার লঞ্চঘাটে চলে আসুন। এখান থেকে প্রতিদিন সকাল সাড়ে ৭টা, সাড়ে ১০টা, দুপুর ১২টা এবং দুপুর ২টায় লঞ্চ ছেড়ে যায়। ফেরার সবশেষ লঞ্চ লংগদু থেকে ছাড়ে দুপুর দেড়টায়।
** অব্যবস্থাপনায় জৌলুশ হারাচ্ছে শুভলং ঝর্ণা
** সৌন্দর্য্যের লীলাভূমি সাজেক যাবেন যেভাবে
** এক পাহাড়ে জীবন যাদের
বাংলাদেশ সময়: ০৭১১ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৭, ২০১৬
এসএম/এইচএ