ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৯ কার্তিক ১৪৩১, ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ১২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বছরজুড়ে দেশ ঘুরে

পাহাড়িদের পছন্দ ‘হাঙর ‍শুটকি’

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৪৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৭, ২০১৬
পাহাড়িদের পছন্দ ‘হাঙর ‍শুটকি’ ছবি: ডি এইচ বাদল-বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

জুরাছড়ি (রাঙামাটি) ঘুরে: ভোজনরসিক হিসেবে বাঙালির সুখ্যাতি প্রাচীন। তার প্রমাণ প্রায়ই পাওয়া যায় তাদের খাবারের পাতে।


 
বাঙালির ভোজনবিলাসের অন্যতম এক পদ শুটকি। তবে সাম্প্রতিক অতীতে নানান জাতের শুটকির কদর বাড়ায় বাঙালির খাবারের টেবিলেও সমান্তরালে বেড়েছে পদের সংখ্যা।
 
কিন্তু ভোজনবিলাসী বাঙালির ‘পদে’ নেই ‘হাঙর শুটকি’। তবে শুটকির বিশেষ এ জাত পার্বত্য অঞ্চলের পাহাড়িদের কাছে বেশ প্রিয়!
 
জুরাছড়ি বাজার ঘুরে দেখা যায়, যে ক’টি দোকানে শূকটি বি্ক্রি হচ্ছে তার সবগুলোতেই পাওয়া যাচ্ছে এটি। তাতেই আঁচ পাওয়া গেলো পাহাড়িদের কাছে এর জনপ্রিয়তার।
 
বাজারের প্রবেশ মুখেই হাতের ডান কোণায় চোখে পড়বে আবুল কালামের (৩২) দোকান। এক যুগের বেশি সময় ধরে শুটকি বিক্রির সঙ্গে জড়িত এ বিক্রেতা বলেন, বাঙালিরা হাঙর শুটকি খায় না। তবে পাহাড়িদের বেশ পছন্দ।
 
কিভাবে খাওয়া হয় প্রশ্নে তিনি জানান, প্রথমে সেদ্ধ করে এর কাঁটা ও মুখের দাঁত ছাড়িয়ে নিতে হয়। এরপর কেউ ফ্রাই করে খান। কেউবা করেন পছন্দের ভর্তা, কারো পছন্দ এর ভুনা।
 
হাঙর শুটকির বিষয়ে রত্ন বাহু চাকমা (৫৫) বলেন, পাহাড়িরা এ শুটকি পছন্দ করেন। এ শুটকির সেদ্ধ, ভর্তা বা ভুনার পদগুলো বেশ মুখরোচক।
 
ছোট হাঙরের এ শুটকি চট্টগ্রামের বিভিন্ন এলাকায় প্রক্রিয়াজাত শেষে আসে রাঙামাটি। সেখান থেকে তারা এটি সংগ্রহ করেন। প্রতি কেজি ‍হাঙর শুটকির খুচরা বিক্রয় মূল্য ৪শ’ টাকা বলে জানান কালাম।
 
বাজার ঘুরে আরো যেসব শুটকির সঙ্গে পরিচিত হওয়া গেলো তার মধ্যে বাঙালির খাদ্য তালিকায় নেই ‘শাওস শুটকি’। এ মাছের শুটকিও পাহাড়িরা বেশ পছন্দ করেন। গায়ে মাংসের আধিক্য এ শুটকির রং কিছুটা কালচে-লাল। প্রতি কেজি শুটকি বিক্রি হয় ৬শ’ টাকা দরে।
 
এ শুটকির কিছু ওষুধি গুণ রয়েছে উল্লেখ করে আবুল কালাম বলেন, পেটের পীড়ায় দ্রুত কার্যকর শাওস শুটকি।
 
কালামের দোকান ছাড়াও বাজারের অন্যসব দোকানে যেসব শূটকি দেখা গেলো তার মধ্যে ছুরি, লাইট্যা, চাপিলা উল্লেখযোগ্য।  
 
রাঙামাটি সদর থেকে অটোরিকশায় পৌঁছাতে পারেন রিজার্ভ বাজার। সেখান থেকে একটু সামনে এগুলেই লঞ্চঘাটে প্রতিদিন সকাল সাড়ে ৭টায় ট্রলারে করে পৌঁছানো যাবে জুরাছড়ি। প্রায় তিনঘণ্টা সময়ে ৭০ টাকা ভাড়ায় আপনাকে এ ট্রলারই নিয়ে আসবে দুপুর দেড়টা নাগাদ। তবে ফিরতি পথেও গুনতে হবে আরো ৭০ টাকা ভাড়া।
 
দ্বিতীয় ট্রলারটি লঞ্চঘাট থেকে দুপুর দেড়টা নাগাদ জুরাছড়ির পথে ছেড়ে গেলেও তা ফিরতি পথ ধরবে পরের দিন সকাল সাড়ে ৭টায়।

***ঠোঁট লাল করা পাহাড়ি ‘ছোট পান’
** ব্রিজের সঙ্গে পর্যটন ডুবেছে কাপ্তাই লেকে
** ‘রিছাংবান্ধব’ নন পর্যটকরা!
** রিছাং রোমাঞ্চ!
** মেঘের ভেলায় ভেসে মেঘ-পাহাড়ের দেশে
** ঝালেই পাহাড়িদের পছন্দ ‘সুমরিচ’

 
বাংলাদেশ সময়: ২১৩২ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৭, ২০১৬
জেডএস/এসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

বছরজুড়ে দেশ ঘুরে এর সর্বশেষ