বরকল, রাঙামাটি ঘুরে এসে: এখানে দিগন্ত পর্যন্ত দৃষ্টি মেললে দেখা যায়, শুধু পানি আর পানি। মাঝে-মধ্যে কোথাও কোথাও পাহাড়, কোথাও ছোট টিলা সগর্বে মাথা তুলে আছে।
হলিউডের সারা জাগানো চলচ্চিত্র ‘ওয়াটার ল্যান্ড’র মতো এখানে মাটি দুষ্প্রাপ্য বা খুব দামি না হলেও, মাটি চাইলেই পাওয়া সম্ভব নয়।
তাই রাঙামাটির চারপাশের লেকঘেরা এলাকা থেকে জুড়াছড়ি, লংগদু, বরকল- যেদিকে ইচ্ছা যাওয়া যাবে, নিঃসন্দেহে এটা ওয়াটার ল্যান্ড বলে মেনে নেবেন পর্যটকরা।
রোববার (১৬ অক্টোবর) রাঙামাটির রিজার্ভ বাজার থেকে ছোট ট্রলারে করে বরকল উপজেলায় যাওয়ার পথে দেখা মিললো ওয়াটার ল্যান্ডের।
ঘাট থেকে রওয়ানা হবার পর থেকেই পানির রাজ্যের লুকায়িত সৌন্দর্য ছটায় মুগ্ধতার শুরু।
মিনিট বিশেক যাবার পরই হাতের ডানদিকে রাঙামাটির বিখ্যাত রেস্টুরেন্ট পেদা টিং টিং। একই নামে রাজধানী ঢাকাতেও রয়েছে একটি রেস্তোরাঁ।
কয়েক বিঘা জায়গা নিয়ে পানিঘেরা ও বৃক্ষরাজি ঢাকা পেদা টিং টিং হয়ে উঠেছে যেনো এক স্বতন্ত্র দ্বীপ।
মন্ত্রমুগ্ধ এ দ্বীপ ছাড়িয়ে কিছুদূর যেতেই এই সুউচ্চ পাহাড়, তাতে দু'এক ঘর বসতি।
আবার হঠাৎ করেই ভোজবাজির মতো উদয় হওয়া গিরিঘাত। দু’ পাশে শতাব্দী ধরে ঠায় দাঁড়িয়ে থাকা পাললিক শিলার কয়েকশ’ ফুট উঁচু পাহাড়। তারই মধ্য দিয়ে সরু খাল দিয়ে আগ বাড়ানো।
আবার চলার পথে কিছু দূর সামনে হঠাৎই দুটি বিশাল পাহাড়ের বাধা, মনে হবে পথ বুঝিবা শেষ, কিন্তু সেখানে গিয়েই হঠাৎ বাক নিয়ে পড়বে বড় নদীতে।
বিস্তীর্ণ এ জলরাশিতে আরো দেখা মিলবে পাহাড়িদের, পাহাড় চূড়ায় থাকা বুদ্ধ মূর্তি, মরে যেতে বসা শুভলং ঝরনা, নাম না জানা ছোট একাধিক ঝরনা, ধলা মিয়ার মাজার, জেলেদের মাছ শিকারের ডেরা প্রভৃতি।
বাংলাদেশ সময়: ০৭৩৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৮, ২০১৬
এসআর/এমএ/এটি