নীলাচল, বান্দরবান থেকে: পাহাড়ে ঝুলে থাকা কটেজের ঝুলবারান্দায় যেতেই গা ছুঁয়ে দিলো হিমঠাণ্ডা হাওয়া। তখন রাত সাড়ে ১২টা।
জানালার ফাঁক গলে ঘরে ভেড়া ভোরের স্নিগ্ধ আলো ঘুম কাড়লো ভোর সাড়ে ৫টায়। দোর খুলে বাইরে চোখ মেলতেই ভোরের রবি দেখিয়ে দিলো তার রূপের ভেলকি। একি! এতো সাক্ষাৎ কাঞ্চনজঙ্ঘা! ক’দিন আগে দার্জিলিং ঘুরে কয়েকটি ভিউ থেকে অনেক অপেক্ষার পরও দেখতে পাইনি ‘ভয়াল সুন্দর’ সে রূপ।
সে বাসনা পূরণ করে দিলো আমার দেশ, আমার পাহাড়, আমার নীলাচল, আমার মেঘের কাঞ্চনজঙ্ঘা।
অদ্ভুতভাবে মোহাচ্ছন্ন করে আবেশিত করলো সে স্বর্ণাভা রূপ। লংগদু ফিরে যেমন মনে হয়েছিলো কেন মানুষ ইউরোপ-আমেরিকা যায়, তেমন নীলাচলের কটেজ ‘জীবন্নীড়’ থেকে দেখা সাদা মেঘের ভেলার ওপর রবির কিরণ দেখে মনে হলো- মানুষ কেন কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখতে দার্জিলিং-নেপাল যায়! এতো রূপ আর কোথাও কি আছে! জীবন্নীড় হয়ে ওঠে যেন জীবনদায়ী।
পুবাকাশে সূর্য যখন চোখ মেলছে পশ্চিমাকাশে, পূর্ণিমার চাঁদ তখনও জেগে। যেন হিংসেয় ঘুমোচ্ছে না, মরছে জ্বলে-পুড়ে। না হলে এই সাত সকালেও সে কেন জেগে!
আলোর রেখা যখন সাদা মেঘের ভেলায় চড়ে পাড়ি দিচ্ছে, তখন সোনারঙা মেঘ হলো মেঘের পাহাড়। সত্যি মেঘের কাঞ্চনজঙ্ঘা ছাড়া কোনো উপমা নেই তার।
সোনারঙা আলো তখন ঠিকরে বের হচ্ছিলো পাহাড়ের বুক ফুঁড়ে জমা মেঘশরীর থেকে। পৃথিবীর সব সৌন্দর্য যেন আত্মসমর্ণ করলো সে রূপের ভেলকিতে।
এই আমার দেশ, এই আমার পাহাড়, এই আমার ‘কাঞ্চনজঙ্ঘা’। সৌন্দর্য দেখতে কেন দূরদেশে!
**হরেক পদের খাবারে ওয়াগ্যোয়াই পোয়েঃ’র শুভেচ্ছা
***পাহাড়চূড়ায় চোখের সামনে রংধনুর ’পর রংধনু (ভিডিওসহ)
**ইউরোপ-আমেরিকাকেও পায়ে ঠেলবে রাঙামাটির লংগদু
***ধসে যাচ্ছে রাঙামাটি শহরের পর্যটন
** রাঙামাটিতে বোটভাড়া নিয়ে ঠকবেন না যদি…
**বিকেলটা কাটুক হেরিটেজ পার্কে
**দক্ষিণ এশিয়ার বৃহত্তম বুদ্ধমূর্তির দেশে
**পাহাড়ের ঐতিহ্যবাহী সব খাবার ‘সিস্টেমে’
**বাঁশের ভেতর মুরগি, পদের নাম ব্যাম্বো চিকেন
**পাহাড়ের সবুজ মাল্টায় দেশজুড়ে বিপ্লব
বাংলাদেশ সময়: ০৮৫৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৮, ২০১৬
এএ/এইচএ/