থানচি (বান্দরবান) ঘুরে: বিকেল থেকেই পাহাড়ের কোলে বাসিন্দারা আসতে শুরু করেছেন অনুষ্ঠানস্থলে। কেউ এসেছেন ঐতিহ্যবাহী লুঙ্গি ফতোয়া পরে, কেউ বা নীলচে পাহাড়ি মেয়ের হাতের তৈরি কাপড়।
তবে সবার মধ্যেই যে একটা উৎসব-উৎসব ভাব বিরাজ করছে তা বান্দরবানের থানচি উপজেলায় গিয়েই বোঝা গেলো।
আষাড়ি পূর্ণিমার পর তিনমাস উপবাস ও আচার পালনের পর এখন পাহাড়ে চলছে প্রবারণা উৎসব। মুলত বৌদ্ধ ভিক্ষুদের অনুষ্ঠান হলেও বর্তমানে শ্রেষ্ঠ সামাজিক, ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে পরিণত হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৮ অক্টোবর) থানচি উপজেলা মাহা ওয়াগ্যোয়াই পোয়ে উদযাপন কমিটির উদ্যোগে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। প্রদীপ প্রজ্জ্বলন ও ফানুস উড়িয়ে সম্প্রীতির এক মেলবন্দন সৃষ্টি করেছেন সাঙ্গু পাড়ের জনগোষ্ঠী।
সাঙ্গু নদীর পশ্চিম তীরে ইসিবি চত্বরে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে শুধু বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের লোকজনই নয়, অন্যান্য ধর্রমের মানুষও যোগ দেন অনুষ্ঠানে।
এতে প্রধান অতিথি ছিলেন ৩৩ বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়নের (বিজিবি) কমান্ডিং অফিসার লে. কর্নেল মো. হাবিবুল হাসান। এসময় শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ায় সবাইকে ধন্যবাদ জানান তিনি।
উপস্থিত ছিলেন ৩৩ বিজিবি এর সেকেন্ড ইন কমান্ড মেজর রুহুল আমিন, বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদ সদস্য উ. খোয়াই মারমা, উপজেলা নিবার্হী অফিসার জাহাঙ্গীর আলম, থানচি থানার ওসি আবদুস সাত্তর ভূঁইয়া, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান বকুলী মারমাসহ স্থানীয় গণ্যমান্যরা।
আলোচনা শেষে মারমা ভাষায় বেশ কয়েকটি সংগীত পরিবেশন করা হয়। ঐতিহ্যবাহী নৃত্য পরিবেশন করে বান্দরবানের মারমা শিল্পী গোষ্ঠী।
প্রবারণা উপলক্ষে ‘ওয়াগ্যোয়াই পোয়ে গো খিয়াইংসাবাজি প্রেকুংবাজি প্রেসু ক্রেতা মিয়ার (ওয়াগ্যোয়াই পোয়েকে স্বাগত জানাই, ফুল ও প্রদীপ পূজা করে। শান্তি বর্ষিত হোক, পরিপূর্ণ হোক আমাদের দেশবাসী)’ গানের সঙ্গে নৃত্য করেন তারা।
প্রায় মধ্যরাত পর্যন্ত চলে প্রবারণা পূর্ণিমা উৎসবের অনুষ্ঠান।
**পাহাড় সঙ্গমে মৎস্যে ভরপুর রূপসী কাট্টলী
**খাবারের দামটাই যা বেশি তূর্ণা নিশিথায়
**পাহাড় থেকে বাজারে নেমে গেছে ‘ভাগের মা’ সড়কটি
**ফলদ-বনজে বিমুগ্ধ ফ্রুটস ভ্যালি
বাংলাদেশ সময়: ০৬২৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৯, ২০১৬
এমএ/এমআইএইচ