থানচি (বান্দরবান) থেকে: বিশাল পাহাড়ের বুক চিরে খরস্রোতা সাঙ্গু বয়ে চলছে। সারি সারি নৌকা বাঁধা বাজারের ঘাটে।
নদীতে কেউ স্নান করছেন। নদীর পাশে কেউ ব্যস্ত মাঠ চষে সোনা ফলানোর কাজে। বাঁশের জাহাজ (চালি) বাঁধা আছে খালে। অপরূপ এ রূপ দেখতে নিয়মিত ভিড় করছেন পর্যটকরা।
এ দৃশ্য বান্দরবানের থানচি উপজেলার একটি সেতুর। মঙ্গলবার (১৮ অক্টোবর) বিকেলে প্রচুর লোকসমাগম হয় সেতুর ওপর। তাদেরই একজন দশম শ্রেণির ছাত্র ময়ন মারমা।
ময়ন বললো, পাহাড়, নদী, হ্রদ, ঝরনার অপূর্ব সমাহার রয়েছে থানচিতে। প্রচুর পর্যটক আসছেন। তারা প্রথমে উপজেলা সদরে অবস্থান করেন। এ সময় বিজিবির সীমান্ত কটেজ, থানচি সেতু এলাকা ঘুরে দেখেন। রাত শেষে বেরিয়ে পড়েন রেমাক্রি, কুমারী ঝরনা, তিন্দু, বড় পাথর, নাফাকুম, মদক ইত্যাদি দেখতে।
লোহাগাড়ার মনীন্দ্র বড়ুয়া সাত বছর হলো থানচিতে ফার্মেসি দিয়েছেন। তিনি বললেন, রেমাক্রি যেতে হলে বোট ভাড়া, গাইডের ফি ইত্যাদি খাতে বড় অঙ্কের বাজেট করতে হয়। সবচেয়ে বড় কথা সময় ও শারীরিক সক্ষমতার বিষয়টি। তাই বেশিরভাগ পর্যটকই থানচি সেতু এলাকায় বেড়াতে আসেন। সরকারি ছুটির দিন তো দাঁড়ানোরও জায়গা থাকে না।
২০১২ সালের ১৭ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাঙ্গু সেতুর উদ্বোধন করেন। এরপর থানচি বাসস্ট্যান্ডের সঙ্গে সদরের সেতুবন্ধন রচিত হয়। আগে নৌকায় ছিল দুই পাড়ের যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম।
সেতুর পাশেই মুক্তমঞ্চ। প্রবারণা পূর্ণিমায় ফানুস ওড়ানোসহ বড় বড় অনুষ্ঠানগুলোর সেখানেই হয়ে থাকে আয়োজন।
** ৮৪ হাজারের বেশি বাতি জ্বলবে যে বনবিহারে
** কোমর তাঁতে মুগ্ধ পর্যটক
** আড়াই লাখ বাতিতে উজ্বল বনবিহার
বাংলাদেশ সময়: ০৭২৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৯, ২০১৬,
এআর/এমআইএইচ