কেওক্রাডং, রুমা ঘুরে: পাহাড় আর মেঘের রাজ্য কেওক্রাডংয়ের আকাশের পূর্ব দিগন্তে তখন লালিমার সাজ সাজ রব। এক মুহূর্তের মধ্যেই রবিরাজ ঘুম ভেঙে উঠবেন।
মেঘ ছুঁয়ে আসা প্রবল বাতাসের ঝাপটায় শীত লাগলেও তার উদয় দেখতে কেওক্রাডংয়ের চূড়ায়ও তখন প্রকৃতিপ্রেমী অভিযাত্রীদের ভিড়।
ঘড়ির কাঁটায় তখন ভোর ৫টা ৫২ মিনিট। পুব আকাশের মেঘ ফুঁড়ে উঁকি দিতে থাকলেন আলোর দেবতা। যেন সোনারঙ উঠতে থাকলো আকাশে।
সূর্যরাজা ধীরে ধীরে উদয় হতে থাকলেন। বান্দরবানের রুমা উপজেলার মেঘ-পাহাড়ের স্বপ্নের দেশ কেওক্রাডংয়ের আকাশ যেন তখন সোনারঙে রূপ নিচ্ছে।
খানিক আগেও মেঘ আর প্রথম হেমন্তের কুয়াশায় যে কেওক্রাডং আবছা-ধূসর দেখাচ্ছিল, ক্রমেই তা হয়ে উঠতে থাকলো উজ্জ্বল-উজ্জ্বলতর। সূর্যের আলো সোনারঙ ছড়াতে থাকলো দিকে দিকে। পাহাড়ের চূড়ায়, ভাঁজে ভাঁজে, গুল্ম-লতা-পাতার ফাঁকে, মেঘেদের মিছিলে।
চোখের সামনে মাত্র ২ মিনিটের কিছু বেশি সময় নিয়ে উদয় ঘটলো রবিরাজের। যেন কতো পরিকল্পিত, কতো সময়ানুবর্তী।
কিছুক্ষণ পর লাল সূর্যের আলোয় মেঘ-পাহাড়ের সবুজ কেওক্রাডংয়ে নয়নাভিরাম এক দৃশ্যের অবতারণা হলো। যেন সদ্যই লাল ক্যানভাসে ছবি এঁকে দিয়েছেন কোনো নিখুঁত চিত্রকর।
এই সূর্যোদয়, এই ছবির মতোন দৃশ্য উপভোগের জন্যই তো সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে দুর্গম যাত্রায় ৩১শ’ ৭২ ফুট উঁচু কেওক্রাডংয়ে আরোহণ, সেখানে অপেক্ষার রাত্রিযাপন!
আরও পড়ুন-
** কেওক্রাডংয়ের রাতের আকাশের কতো বিশালতা!
** মুরংদের তুলার কম্বল, টেকে ২শ’ বছর
** আত্মশুদ্ধির আহ্বানে আকাশে শতো ফানুস
** মেঘ ফুঁড়ে পাহাড়ের গায়ে রোদ বাতি!
** জলের ওপর বসতভিটে
** হ্রদের জলে কার ছায়া গো!
** সড়ক যেন আকাশছোঁয়ার খেলায় (ভিডিও)
** সাজেকের ভাঁজে ভাঁজে প্রকৃতির সাজ
** মানিকছড়ির ফুলের ঝাড়ুতে পরিচ্ছন্ন সারাদেশ
** নট ইউজিং ‘ইউজ মি’
** কেওক্রাডংয়ের দুর্গম পথে প্রশান্তির চিংড়ি
** বগালেকে ফ্রি ফিশ স্পা!
বাংলাদেশ সময়: ০৮০৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ২২, ২০১৬
এইচএ/এএ/