ঢাকা, সোমবার, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫

কৃষি

কৃষির উৎপাদন বাড়াতে জ্ঞান স্থানান্তর বিষয়ক আন্তর্জাতিক প্রশিক্ষণ

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৫২ ঘণ্টা, আগস্ট ২৮, ২০২৩
কৃষির উৎপাদন বাড়াতে জ্ঞান স্থানান্তর বিষয়ক আন্তর্জাতিক প্রশিক্ষণ

ঢাকা: কৃষি উৎপাদনশীলতা উন্নত করার জন্য জ্ঞান স্থানান্তর বিষয়ে নলেজ ট্রান্সফার টু ইমপ্রুভ অ্যাগ্রিকালচার প্রডাক্টিভিটি শীর্ষক ৫ দিনের আন্তর্জাতিক প্রশিক্ষণ কোর্স উদ্বোধন করা হয়েছে৷ 

সোমবার (২৮ আগস্ট) রাজধানীর একটি হোটেলে প্রধান অতিথি হিসেবে এই প্রশিক্ষণ কোর্সের উদ্বোধন করেন শিল্প মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব শেখ ফয়েজুল আমীন।  

এশিয়ান প্রোডাক্টিভিটি অর্গানাইজেশন (এপিও) এবং বাংলাদেশের ন্যাশনাল প্রোডাক্টিভিটি অর্গানাইজেশনের (এনপিও) যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত এ আন্তর্জাতিক প্রশিক্ষণ কোর্স আগামী ০১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চলবে৷ 

এপিওভুক্ত কম্বোডিয়া, ফিজি, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, নেপাল, পাকিস্তান, ফিলিপাইন, চীন প্রজাতন্ত্র, শ্রীলঙ্কা, থাইল্যান্ড, ভিয়েতনাম এবং স্বাগতিক বাংলাদেশের ২৪ জন প্রতিনিধি অংশগ্রহণ করছেন।

 

ন্যাশনাল প্রোডাক্টিভিটি অর্গানাইজেশনের (এনপিও) মহাপরিচালক এবং বাংলাদেশে এপিও-এর বিকল্প পরিচালক মো. মেজবাহুল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে এপিও-এর মহাসচিবের পক্ষে বক্তব্য দেন জাপানের প্রোগ্রাম অফিসার, মাল্টি-কান্ট্রি প্রোগ্রাম ডিভিশন, এপিও সেক্রেটারিয়েট তোশিনোরি মিৎসুনাগা।

প্রশিক্ষণ কোর্সে তিনজন রিসোর্স পার্সন জাপানের ড. কোইচি ফুকুদা, ভারতের ড. মেলমঙ্গলম রামানাথান রামাসুব্রমানিয়ান এবং বাংলাদেশের ড. শেখ তানভীর হোসেন প্রশিক্ষণ কার্যক্রম পরিচালনা করেন।  

প্রশিক্ষণ কোর্সে আলোচিত বিষয়গুলোর মধ্যে রয়েছে কৃষি জ্ঞান স্থানান্তর এবং সরঞ্জাম এবং প্রযুক্তির ধরন এবং ভূমিকা, জাপান, ভারত ও বাংলাদেশে কৃষি সম্প্রসারণ পরিষেবা এবং স্মার্ট কৃষি, উৎপাদনে মনোযোগী স্মার্ট কৃষির উন্নয়ন, বাংলাদেশে সমবায় ভিত্তিক গ্রামীণ উন্নয়ন এবং সম্প্রসারণ কার্যক্রম, স্মার্ট ডেভলপমেন্ট অব স্মার্ট অ্যাগ্রিকালচার, বিতরণ এবং কৃষি সম্প্রসারণের দিকনির্দেশনা, কৃষক থেকে কৃষকে জ্ঞান বিনিময় বৃদ্ধির জন্য একটি ইকোসিস্টেম তৈরি করা।  

আলোচকরা জানান, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে এপিও সদস্য দেশের কৃষি উৎপাদনের মূল্য প্রায় ১ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছেছে (এফএও, ২০২১)। কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট এবং সংস্থাগুলোর গবেষণা ও উন্নয়নের অগ্রগতি সেক্টরে উৎপাদন এবং উৎপাদনশীলতার ক্রমাগত বৃদ্ধি সমর্থনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।  

অ্যাগ্রিকালচার নলেজ অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেম (AKIS) প্রাসঙ্গিক স্টেকহোল্ডারদের মধ্যে জ্ঞান ভাগাভাগি করতে সহায়তা করে।  

তারা আরো জানান, যদিও প্রযুক্তি এবং পদ্ধতিগুলো বিকশিত হয়েছে। তবে একটি সীমাবদ্ধতা হলো গবেষণা সংস্থা থেকে কৃষি সম্প্রদায়ের মধ্যে জ্ঞান, বোঝা-পড়া এবং দক্ষতা ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য কাঠামোগত, শক্তিশালী জ্ঞান স্থানান্তর প্রকল্পের অভাব।  

এ প্রশিক্ষণ কোর্সের উদ্দেশ্য হলো কৃষকদের কাছে জ্ঞান স্থানান্তর পদ্ধতির ধারণা, ব্যবস্থাপনা এবং মডেল বোঝা, এই ধরনের স্থানান্তর প্রয়োগ করার পদ্ধতি এবং কৌশল ব্যাখ্যা করা। এছাড়া জ্ঞান স্থানান্তর এবং উদ্ভাবন মডেলের সর্বোত্তম অনুশীলনগুলোর থেকে সাফল্যের মূল কারণগুলো সম্পর্কে জানা এবং এপিও সদস্যদের মধ্যে সেগুলো প্রয়োগ করা।  

বাংলাদেশ সময়: ১৮৫০ ঘণ্টা, আগস্ট ২৮, ২০২৩
জিসিজি/এসআইএস 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।