মানিকগঞ্জ (ঢাকা নর্থ): মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া উপজেলায় লেবুর বাম্পার ফলন হলেও দাম কম থাকায় লোকসানের মুখে পড়েছে লেবু চাষিরা। প্রতি বছর রমজান মাসে ও ঈদের সময় লেবুর চাহিদা বাড়লেও এবার লেবুর দাম বাড়েনি।
যেখানে এক খাচি (ঝুড়ি) লেবু বিক্রি করা হতো ১৫ থেকে ১৮ হাজার টাকায়, এখন সেখানে দাম কমে এক খাচি লেবু বিক্রি হচ্ছে মাত্র ৭ থেকে ৮ হাজার টাকায়। এক খাচিতে ৬/৭ হাজার লেবু থাকে।
ঈদ এলেও দাম বাড়েনি লেবুর। আর তাই সাটুরিয়ায় লেবুর বাম্পার ফলন হলেও দাম কম থাকায় হাসি নেই লেবু চাষিদের মুখে। আর ক্ষতিগ্রস্ত লেবু চাষিদের কোনো ধরনের ঋণ ও অন্য সহযোগিতা করছে না সরকার ও কৃষি অধিদপ্তর।
সাটুরিয়ার উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা অসিদ বরুন চৌধুরী বাংলানিউকে জানান, লেবু দীর্ঘ মেয়াদি ফসল। সাটুরিয়া উপজেলায় এ বছর সাড়ে ১৩শ মেট্রিক টন লেবু উৎপাদন হয়েছে। বছর জুড়েই কম বেশি লেবু তোলা হয়। উৎপাদিত এসব লেবু স্থানীয় বাজার এবং জেলার চাহিদা মিটিয়ে ঢাকার কারওয়ান বাজারে বিক্রি হয়ে থাকে।
সাটুরিয়া উপজেলার বইলতলা গ্রামের লেবু চাষি মো. খোরশেদ আলম বাংলানিউজকে বলেন, ৮ বিঘা জমিতে লেবুর আবাদ করেছি। লেবুর দাম অন্য বারের তুলনায় অনেক কম। প্রতিদিন আমরা ১০ থেকে ১২ হাজার লেবু তুলে তা বিক্রির জন্য ঢাকা পাঠাই। আগে রমজান ও ঈদের সময় আমাদের লেবু বিক্রিতে প্রচুর লাভ হলেও এখন সব খরচ হিসাব করলে লোকসান হচ্ছে।
লেবু চাষি আ. করিম বাংলানিউজকে বলেন, আমরা অন্য সময় লেবু গাছ থেকে না তুলে রেখে দেই রমজান ও ঈদে বিক্রির জন্য। কিন্তু এবার আগের তুলনায় অর্ধেক দামে বিক্রি হচ্ছে লেবু।
পাইকারি লেবু বিক্রেতা আ. মান্নান বাংলানিউজকে জানান, ১৫ বিঘা জমির লেবু বাগান ক্রয় করেছেন তিনি। শ্রমিক, পরিচর্যা ও সার দেওয়া নিয়ে তার খরচ হয়েছে প্রায় ২ লাখ টাকা। কিন্তু এবার লেবুর যে দাম তাতে তার খরচের টাকা উঠবে কিনা তা নিয়ে আশঙ্কা রয়েছে।
বাগান থেকে লেবু তোলার পর বাছাই করে চার ভাগে ভাগ করা হয়। লেবুর মৌসুমে ঢাকায় প্রতি ১ হাজার লেবু ৩ থেকে ৫ হাজার টাকায় বিক্রি হলেও বর্তমানে বাজারে প্রতি ১ হাজার লেবু ১ থেকে ২ হাজার টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ০৭২৮ ঘণ্টা, জুলাই ০৫, ২০১৬
পিসি/