নীলফামারী: আজ ১ ফেব্রুয়ারি, ভাওয়াইয়া গানের জগতের কিংবদন্তি গীতিকার ও শিল্পী মহেশ চন্দ্র রায়ের জন্মদিন। ১০৪ বছর আগে বাংলা ১৩২৫ সনের ১৯ মাঘ মোতাবেক ১৯১৯ সালের ১ ফেব্রুয়ারি তিনি জন্মেছিলেন ব্রিটিশ ভারতের রংপুর জেলার কিশোরগঞ্জের পুঁটিমারী গ্রামে।
মহেশ চন্দ্র রায়ের বাবার নাম বাবুরাম রায় ও মায়ের নাম বিমলা রানী রায়। মাত্র পাঁচ বছর বয়সে তিনি মা হারা হন। বাবা তাঁকে মায়ের স্নেহে লালনপালন করেন। পরে নীলফামারী সদরের সংগলশী ইউনিয়নের দীঘলডাঙ্গী গ্রামের গগনচন্দ্র রায়ের ছোট মেয়ে বীণাপাণি রায়কে বিয়ে করে শ্বশুরবাড়িতেই স্থায়ী হন মহেশ চন্দ্র রায়। সে বাড়িতেই ৭৫ বছর বয়সে ১৯৯৩ সালের ২৯ জানুয়ারি তিনি মারা যান।
মহেশ চন্দ্র রায় ছিলেন চারণ ভাওয়াইয়া শিল্পী। তাঁর গানের কথায় গ্রাম্য সমাজের সুখ, দুঃখ, হাসি, কান্না, বিরহ, ব্যথা, কৃষিসহ বিভিন্ন বিষয় জায়গা পেয়েছিল। অসাম্প্রদায়িক মানুষ হিসেবে তাঁর গ্রহণযোগ্যতা ছিল সবার কাছে।
আড়াই হাজার নাকি পাঁচ হাজার- মহেশ চন্দ্র রায়ের গানের সংখ্যা নিয়ে দ্বিমত আছে। কিন্তু ‘কানিছাত গারুনু আকাশি আকালি’, ‘টুলটুলিরে টুলটুলি’, ‘আবো তুই মরিয়া গেইলে’সহ তাঁর লেখা বিভিন্ন গানের জনপ্রিয়তা প্রসঙ্গে কোনো দ্বিমত নেই কারও।
সৈয়দপুর শহর থেকে যে রাস্তাটি নীলফামারী চলে গেছে, সেই রাস্তায় শিমুলতলী নামে ছোট্ট একটি বাসস্ট্যান্ড আছে। সেখানে নেমে পশ্চিম দিকে যেতে থাকলে প্রথমেই পড়বে শিমুলতলী গ্রাম। এ গ্রামে ভাওয়াইয়ার আরেক কিংবদন্তি হরলাল রায়ের বাড়ি। গ্রামটি ছাড়িয়ে পশ্চিমে এগিয়ে গেলে রেললাইন। সেটি পার হলেই দীঘলডাঙ্গী গ্রাম। শিমুলতলী আর দীঘলডাঙ্গী এ দুই গ্রামের মাঝখানে বারুনির ডাঙ্গা নামে বিশাল এক ফাঁকা মাঠ। এ মাঠের পশ্চিম প্রান্তেই মহেশ চন্দ্র রায়ের বাড়ি। যে কাউকে বললেই দেখিয়ে দেবে। তাঁর পরিবারের সদস্যরা এখনো এ গ্রাম ও সৈয়দপুর শহরেই বসবাস করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১১২৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০১, ২০২৩
আরএ