ঢাকা: জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি ও দৈনিক কালের কণ্ঠের সম্পাদক কবি হাসান হাফিজ বলেছেন, হেলাল হাফিজের কবিতা সংগ্রহ চলছে। তাকে নিয়ে যারা লিখছেন তাদের কবিতা নিয়ে একটা বই হবে।
বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে আবিষ্কার প্রকাশনীর উদ্যোগে আয়োজিত কবি হেলাল হাফিজ ও কবি এরশাদ মজুমদারকে নিয়ে স্মরণ সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি ও কালের কণ্ঠ পত্রিকার সম্পাদক কবি হাসান হাফিজ বলেন, আমার নামটা হেলাল হাফিজের দেওয়া। হেলাল হাফিজের মৃত্যু আমার অঙ্গহানির সমান। তিনি কিংবদন্তিতুল্য। আমি মনে করি কথাসাহিত্যের জগতে হুমায়ুন আহমেদ ও তিনি এভারেস্ট সমান। কবি শামসুর রাহমানের হাত ধরে আমার সংবাদিকতায় প্রবেশ। আমি উনাকে বড় ভাইয়ের চেয়ে বেশি শ্রদ্ধা করি। আমার প্রথম কবিতার নাম তার উক্তি দিয়ে। হেলাল হাফিজের কবিতা সংগ্রহ চলছে। তাকে নিয়ে যারা লিখছেন তাদের কবিতা নিয়ে একটা বই হবে। হেলাল হাফিজ আমাদের মাঝে বেঁচে থাকবেন চিরকাল।
কবি সোহরাব হাসান বলেন, আমাদের আজ আয়োজন ছোট কিন্তু আন্তুরিকতায় পরিপূর্ণ। হেলাল হাফিজ আমাদের সমস্ত সত্তা জুড়ে। উনার জীবনটা বিস্ময়কর। হেলাল হাফিজ যদি আরও বেশি লিখতেন। আফসোস লাগে তিনি কম লিখেছেন। হেলাল ভাইকে আমরা পাব না। কিন্তু তিনি গল্পে-কবিতায় থাকবেন। আমরা যারা তার সংস্পর্শ পেয়েছি। তিনি আমাদের পুরোটা জুড়ে থাকবেন।
কবি সাংবাদিক মোশাররফ হোসেন বলেন, হেলাল হাফিজের সার্থকতা হলো তার সময়কার তারুণ্যকে সঠিক নির্দেশনা নিয়ে মানুষের মনের দাগ কেটেছেন। কবিরা শুধু শব্দের ওপর দখল রাখেন না। তারা চিত্তলোকে থাকেন। তাদের মনোজগৎ বিশাল। কবিরা তাদের লেখনির মাধ্যমে সমাজের ক্রান্তিকাল দূর করতে পারে। যদি তাদের লক্ষ্য উদ্দেশ্য ঠিক থাকে।
তিনি বলেন, এরশাদ মজুমদার নিজেকে সুফী হিসেবে পরিচয় দিতেন। সাংবাদিকতায় নিচ থেকে ওপরে কীভাবে উঠা যায়, তার অনন্য উদাহরণ তিনি। সাংবাদিকতার প্রতি অনেক নিষ্ঠাবান ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৯, ২০২৪
এমএমআই/জেএইচ