ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

শিল্প-সাহিত্য

বিমূর্ত ও মূর্ত সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য একে অপরের সঙ্গে অবিচ্ছেদ্যভাবে সম্পৃক্ত

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০৪৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২১, ২০২৩
বিমূর্ত ও মূর্ত সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য একে অপরের সঙ্গে অবিচ্ছেদ্যভাবে সম্পৃক্ত ছবি: জিএম মুজিবুর

ঢাকা: বিমূর্ত ও মূর্ত সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য একে অপরের সঙ্গে অবিচ্ছেদ্যভাবে সম্পৃক্ত। এসব ঐতিহ্য আমাদের লোকসৃষ্টি।

বিমূর্ত সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য সংরক্ষণ ও সুরক্ষার প্রথম পদক্ষেপ হলো সেগুলোকে যথাযথভাবে শনাক্তকরণ বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।

সোমবার (২০ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে অমর একুশে বইমেলার মূলমঞ্চে অনুষ্ঠিত হয় বাংলাদেশের বিমূর্ত সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠান। প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন নূরুননবী শান্ত। আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন বেলাল হোসেন এবং হোসেন আল মামুন। সভাপতিত্ব করেন কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা।

প্রবন্ধে বলা হয়, ‘বিমূর্ত সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য’ শব্দের অর্থ এমন কিছু যা ‘স্পর্শ করা যায় না’, ধরা যায় না, কিন্তু অনুভব করা যায়। তবে সেই অনুভব সর্বদা ইন্দ্রিয়জ হয় না। বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যে ইন্দ্রিয়াতীত অনুভবের অস্তিত্ব আছে। বাংলাদেশের পরিবর্তনশীল সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের বিভেদ-বৈষম্যের স্থান নেই। এর মধ্যে রয়েছে লোকশিক্ষা বিস্তারের শক্তিশালী উপাদান। বাংলাদেশের পরিবর্তনশীল সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য সকল সময়ের জানা-অজানা প্রতিবন্ধকতা অতিক্রম করে বাঙালি জাতির পরিচয় স্বাতন্ত্র্য বিশ্বময় মূর্ত করে তুলবে।

আলোচকবৃন্দ বলেন, আমাদের জাগতিক ও সামাজিক ভাবনায় বিমূর্ত সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের অস্তিত্ব বিদ্যমান। দেশের গণ্ডি পেরিয়ে আজ আমাদের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের পরিচয় ছড়িয়ে পড়েছে বহির্বিশ্বে, অর্জন করেছে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি। তবে বাংলাদেশের বিপুল সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের তালিকা তৈরি করা প্রয়োজন। আর নির্দিষ্ট ঐতিহ্যের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সকল শিল্পী, কলাকুশলী, বাদ্যযন্ত্র শিল্পী সকলের তালিকাও প্রস্তুত করতে হবে। বিমূর্ত সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য সংরক্ষণে দেশের অর্থনীতিকে হতে হবে সংস্কৃতিবান্ধব।

সভাপতির বক্তব্যে কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা বলেন, বিমূর্ত ও মূর্ত সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য একে অপরের সঙ্গে অবিচ্ছেদ্যভাবে সম্পৃক্ত। এসব ঐতিহ্য আমাদের লোকসৃষ্টি। বিমূর্ত সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য সংরক্ষণ ও সুরক্ষার প্রথম পদক্ষেপ হলো সেগুলোকে যথাযথভাবে শনাক্তকরণ।

সোমবার লেখক বলছি অনুষ্ঠানে নিজেদের নতুন বই নিয়ে আলোচনা করেন মোহাম্মদ সাদিক, জয়দীপ দে, স. ম. শামসুল আলম এবং আলী ছায়েদ। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে কবিতা পাঠ করেন আনিসুল হক, দীলতাজ রহমান, সাহেদ মন্তাজ, ফারহান ইশরাক, নাসরীন নঈম, জাহাঙ্গীর হোসাইন, রুহুল মাহবুব, বোরহান মাসুদ, নাদির খানম এবং লুনা রাহনুমা। আবৃত্তি পরিবেশন করেন আবৃত্তিশিল্পী মাহমুদা আখতার, দেওয়ান সাইদুল হাসান, নাজমুল আহসান, জি. এম. মোর্শেদ ও তিতাস রোজারিও। পুঁথিপাঠ করেন জালাল খান ইউসুফী।

বাংলাদেশ সময়: ০০৩৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২১, ২০২৩
এইচএমএস/আরএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।