ঢাকা: আট বছর পর প্রকাশিত হয়েছে তরুণ কথাসাহিত্যিক, কবি ও সাংবাদিক রাসেল মাহমুদের নতুন বই। দীর্ঘ বিরতির পর তিনি ফিরেছেন সাহিত্য ও প্রকাশনার মূলমঞ্চে।
‘কয়েকছত্র কান্নার গল্প’ প্রসঙ্গে রাসেল মাহমুদ বলেন, ‘আমার জীবনের প্রথম বইটি ছিল ছোটগল্পের। প্রায় ১৪ বছর বিরতির পর দ্বিতীয় ছোটগল্পের বই বের হলো। এর মাঝে বেরিয়েছে দুটি কাব্যগ্রন্থ ও একটি উপন্যাস। সাংবাদিকতা করি বলে লেখালেখি চালিয়ে যেতে হয়েছে। কিন্তু গল্প-কবিতা থেকে গত আট বছর বিরতি নিয়েছিলাম। বিচ্ছিন্নভাবে গল্প কবিতা লিখেছি। এখন থেকে সেটা নিয়মিত চালিয়ে যাওয়ার আশা আছে। ’
তরুণ লেখকদের নানা সংকট প্রসঙ্গে রাসেল মাহমুদ বলেন, ‘তরুণ লেখকেরা বাংলাদেশে যেভাবে সংগ্রাম করেও বঞ্চিত হয়, এ রকম বোধহয় পৃথিবীর আর কোথাও ঘটে না। লেখালেখি বা কবিতাচর্চা করে রুটি-রুজির ব্যবস্থা করা যায় না এখানে। এ কারণে যারা লেখালেখিকে ক্যারিয়ার করতে চান, তারা সেটা পেরে ওঠেন না। তাদের অন্য একটি পেশায় নিয়োজিত থাকতে হয়, পাশাপাশি সাহিত্যচর্চা করতে হয়। চাকরির পাশাপাশি সাহিত্যচর্চা করা যায় না। এ কারণেই কথাসাহিত্যিক জাকির তালুকদার ডাক্তারি করেননি। পেশাদারিত্ব নিশ্চিত করা গেলে লেখালেখি করেও রুটি-রুজির ব্যবস্থা করা সম্ভব হতো। আমাদের দেশে গত ৫০ বছরেও সৃজনশীল সাহিত্যকে পেশাদার করা গেলো না। ’
রাসেল মাহমুদ গত এক যুগ সাংবাদিকতা করছেন মূলধারার জাতীয় দৈনিকে। কাজে করেছেন যুগান্তর, আলোকিত বাংলাদেশ, প্রথম আলোতে। ছাত্রজীবন থেকে লিটল ম্যাগাজিন ও বিভিন্ন সাহিত্য সংগঠনে সক্রিয় এই তরুণ বাংলা একাডেমির তরুণ লেখক প্রকল্পে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন ২০১১ সালে। ২০১৫ সাল থেকে সংস্কৃতিবিষয়ক লেখক-প্রতিবেদক হিসেবে কাজ শুরু করেন দৈনিক প্রথম আলোয়।
সর্বশেষ ২০১৫ সালে প্রকাশিত হয় রাসেল মাহমুদের দ্বিতীয় কাব্যগ্রন্থ ‘ইনবক্স ভরে গেছে বকুলের ঘ্রাণে’ ব্যাপক পাঠকপ্রিয় হয়। এ বছর তার পঞ্চম বই ‘কয়েকছত্র কান্নার গল্প’ প্রকাশ করেছে পলল প্রকাশনী। ১০ জন নারীর ব্যক্তিগত জীবন কাহিনিকে গল্পে রূপ দেওয়া হয়েছে বইতে। বইমেলায় পলল প্রকাশনীর স্টল ছাড়াও বইটি পাওয়া যাবে অনলাইনে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮২৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৭, ২০২৩
এইচএমএস/এএটি